ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের দিন ভারী ও হালকা বৃষ্টির আভাস

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • 79

বাংলা আষাঢ় মাসের প্রথম দিন আজ। একই সঙ্গে প্রকৃতিতে বর্ষাও শুরু। এবার বর্ষা ঋতুর প্রথম সপ্তাহেই ঈদুল আজহা। বর্ষা মানেই আকাশে মেঘের লুকোচুরি আর বৃষ্টি। সেই হিসেবে ঈদের দিনে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ দিন কোথাও হালকা আবার কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৭ জুন সোমবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, এখন মনসুন মৌসুম। সে অনুযায়ী সারাদেশে কম বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন যেভাবে যাচ্ছে ঈদেও সেভাবে থাকবে। সে ক্ষেত্রে ঈদের দিনও বৃষ্টি হবে এটা স্বাভাবিক। তবে অঞ্চল ভেদে বৃষ্টির পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামে বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে সারাদেশে তাপমাত্রা কম থাকলেও আজও (শনিবার) মেঘলা আকাসের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। আজ শনিবারের আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া খুলনা বিভাগসহ গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, শনিবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ঈদের আগের দিন রোববারের পূর্বাভাস জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অবন্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এদিকে গতকাল খুলনা ও বরিশাল ছাড়া প্রায় সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুলনায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামে ৭৮ মি.মি.।

ট্যাগস

ঈদের দিন ভারী ও হালকা বৃষ্টির আভাস

আপডেট সময় ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

বাংলা আষাঢ় মাসের প্রথম দিন আজ। একই সঙ্গে প্রকৃতিতে বর্ষাও শুরু। এবার বর্ষা ঋতুর প্রথম সপ্তাহেই ঈদুল আজহা। বর্ষা মানেই আকাশে মেঘের লুকোচুরি আর বৃষ্টি। সেই হিসেবে ঈদের দিনে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ দিন কোথাও হালকা আবার কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৭ জুন সোমবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, এখন মনসুন মৌসুম। সে অনুযায়ী সারাদেশে কম বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন যেভাবে যাচ্ছে ঈদেও সেভাবে থাকবে। সে ক্ষেত্রে ঈদের দিনও বৃষ্টি হবে এটা স্বাভাবিক। তবে অঞ্চল ভেদে বৃষ্টির পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামে বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে সারাদেশে তাপমাত্রা কম থাকলেও আজও (শনিবার) মেঘলা আকাসের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। আজ শনিবারের আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া খুলনা বিভাগসহ গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, শনিবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

ঈদের আগের দিন রোববারের পূর্বাভাস জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অবন্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এদিকে গতকাল খুলনা ও বরিশাল ছাড়া প্রায় সব বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুলনায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামে ৭৮ মি.মি.।