কিছুতেই যেন ঠিক হচ্ছে না এমবাপে এবং পিএসজির সম্পর্ক। ট্রান্সফার ইস্যুতে দুই পক্ষের বিরোধ ছিলো আগে থেকেই। এবার ফ্রেঞ্চ তারকার বেফাঁস মন্তব্যে পুরোপুরি চটে গিয়েছেন দলের খেলোয়াড় এবং মালিকপক্ষ। এই নিয়ে পিএসজির ছয় খেলোয়াড় নাকি দেখাও করেছেন ক্লাবের মালিক নাসের আল-খেলাইফির সাথে।
খবরটি প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টস। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে পিএসজির এই তারকা খেলোয়াড় জানান, পিএসজিতে খেলে নিজের কোন লাভই দেখছেন না তিনি। সেইসাথে দলে বিভক্তি আর খেলোয়াড় কেনা নিয়েও কড়া মন্তব্য ছিলো তার।
মূলত এমন কথার পরেই ফ্রেঞ্চ এই তারকার উপর চটেছেন তার ক্লাব সতীর্থরা। আরএমসি স্পোর্টসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দলে নতুন আসা দুজনসহ মোট ছয়জন পিএসজি খেলোয়াড় ক্লাবের সভাপতি নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে দেখা করেছেন। এমবাপের মন্তব্যে তাঁরা যে খুশি নন, সেটা বুঝিয়েছেন খেলাইফিকে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এমবাপের মন্তব্যকে পিএসজির এক খেলোয়াড় ‘ক্লাবের প্রতি অপমান’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট খেলাইফিও পুরো বিষয়টিকে ‘পিএসজি স্কোয়াডের সব সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব’ হিসেবেই দেখছেন।
সম্প্রতি ফ্রান্সের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হবার পর লেকিপ এবং ফ্রান্স ফুটবলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমবাপের কড়া মন্তব্যের সূত্র ধরেই মূলত এমন বিরোধের শুরু।
এমবাপের ভাষ্য, ‘আমার মনে হয়, পিএসজিতে খেলে আমার কোনো লাভ হবে না, কারণ এ দলটা ভাগ হয়ে যায়। হ্যাঁ অবশ্যই, এর ফলে অনেক রটনা তৈরি হয়, তবে এগুলো আমাকে খুব বেশি ভাবায় না। কারণ, নিজে কী করছি এবং কীভাবে করছি, তা আমি জানি।’
পিএসজির বড় সমালোচনা, প্রচুর অর্থ ঢাললেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দেখা পাচ্ছেনা দলটি। এ নিয়েও মন্তব্য করেছেন এমবাপে। শিরোপা না পাবার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য পিএসজির কিসের অভাব। এই প্রশ্ন আমার জন্য না। আপনাকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, যারা দল বানায়, স্কোয়াডকে সংগঠিত করে এবং ক্লাবকে গড়ে তোলে। আমি যতটা সম্ভব নিজের কাজটা করে যেতে চাই। আমি সেরা খেলোয়াড় ছিলাম। লিগ ওয়ানে টানা ৫ মৌসুম ধরে শীর্ষ গোলদাতা ছিলাম।’
এদিকে বিতর্কের মাঝেই গুঞ্জন উঠেছে ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমবাপে। ২০০ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফার ফিতে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার দ্বারপ্রান্তে আছেন তিনি।