২০১০ সালের আগে শেয়ারবাজারে প্লেসমেন্ট বাণিজ্যে ছিল রমরমা ব্যবসা। ইব্রাহিম খালেদের কারসাজির তদন্তে এটি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। তারপর আইন করে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেটি আবারও জেগে উঠছে।
বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, প্লেসমেন্ট বাণিজ্যে জড়িত থাকে রুই-কাতলারা। যে কারণে ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা ব্যক্তিদেরদের কোন বিচার হয়নি।
এক দশন পর সেই লুটপাটের চিত্র শেয়ারবাজারে আবারও ফিরে এসেছে। একদিকে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা নেই; অন্যদিকে আবার কারসাজি করে অসাধুরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এতে জড়িত শেয়ারবাজারের কর্মকর্তারাই, যা দীর্ঘদিন ধরে ‘ওপেন সিক্রেট’।
সম্প্রতি এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও ডিএসই পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের শেয়ার কারসাজির ঘটনা সামনে আসার পর নিস্তেজ বিষয়টি আবার আলোচনায় ফিরেছে! বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, প্লেসমেন্ট শেয়ার লেনদেন জিইয়ে রেখে কারসাজির সুযোগ নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে পথের ফকির হতে চলেছে। এই বাজারে টাকা বিনিয়োগে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তারা বলছেন, বড় বড় কর্মকর্তারাই শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত, শেয়ারবাজারে এখন সাধারণদের সম্পদের নিশ্চয়তা নেই। অভিযোগ ওঠেছে, ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা মতিউর রহমান প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে শেয়ারবাজার থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েকশ কোটি টাকা। আর বেআইনিভাবে ডিএসইর পরিচালক লেনদেন করেছেন ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন আরও অনেক ঘটনাই শেয়ারবাজারকে নিয়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার চরম পর্যায়ে। এগুলো সংশোধনের নেইকার্যকর উদ্যোগ।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আল আমিন বলেন, এই কারসাজির ব্যাপারটা সবার সামনে আসছে; কারণ নিশ্চয়ই কারো স্বার্থে আঘাত লেগেছে। এখন এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হতে পারে। তবে শেয়ারবাজারের জন্য সত্যিকার অর্থে ভালো পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আর এজন্য ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে হবে।