ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে হয়ে অন্তত ১০৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মঙ্গলবার (২ জুলাই) হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর
প্রতিবেদনে বলা হয়, রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠান শেষ হতেই একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী জমায়েত হওয়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, শিশু এবং নারীসহ ১৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এটা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল মুঘলাগড়ি গ্রামে। একসঙ্গে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন ওই সভায়। কী কারণে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। দেহগুলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে হাথরসের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ বলেছিলেন, “হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন এবং কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি।
যোগী আদিত্যনাথ পরে মৃতদের আত্মীয়দের ২ লাখ রুপি করে এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা ঘোষণা করেছেন।