প্রতি বছর ২ জুলাই পালিত হয় ‘আই ফরগট ডে’ বা ‘আমি ভুলে গেছি দিবস’! একবার ভাবুন তো, কত মজা আর রসাত্মক হতে পারে দিনটি! আমরা সবাই কম-বেশি কিছু না কিছু ভুলে যাই। এই ভুলে যাওয়ার মাঝেই লুকিয়ে থাকে এক ধরনের হাস্যরস।
এমন অনেক কিছুই জীবনে ভুলে গিয়েছিলাম। শহরের চির চেনা রাস্তা ভুলে যাওয়ার গল্পটা একদম আলাদা। আমি ছোটবেলায় প্রতিদিন যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতাম, সেই রাস্তাটি একদিন ভুলে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে মনে হলো, এ রাস্তা তো আমার পরিচিত নয়! এতদিন ধরে যে রাস্তাটি চিনতাম, আজ সেটি যেন অচেনা। এমন ঘটনায় অস্বস্তি তো আছেই। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, স্কুলে দেরিতে পৌঁছে সত্যি বলেছিলাম বলে সবাই খুব হেসেছিল।
মহল্লার গলি ভুলে যাওয়ার ঘটনাও কম মজার নয়। বাইরে হাঁটতে গিয়ে যে গলিটি দিয়ে প্রায় সময় আসি-যাই; সেই গলিটিও ভুলে গেছি বহুবার। হাঁটতে হাঁটতে মনে হলো, এ আমি কোথায়? শেষে তো দোকানদারকেই জিজ্ঞেস করতে হলো, ‘আঙ্কেল, খেলাঘর মাঠটা কোনদিকে?’ সবার সামনে এভাবে বোকা বনে যাওয়াটা বেশ মজার হলেও মনে মনে একটু বিরক্ত লেগেছিল।
পড়াশোনায় ভুলে যাওয়া আমাদের সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। পরীক্ষার সময় যতই মাথায় রাখি, ‘আচ্ছা, এই উত্তরটা ঠিকমতো মনে আছে।’ ঠিক সেই সময়েই সব ভুলে যাই। পরীক্ষার হলে বসে তখন মনে হয় অজানা ভাষায় লিখতে বসেছি। বার্ষিক পরীক্ষা বাদে অন্য সময় না লিখতে পারার জন্য কেউ কেউ মজা করতো।
তবে উপকারীর প্রতিদান ভুলে যাওয়া কিন্তু মোটেও মজার নয়। আমরা অনেক সময় অন্যের উপকার ভুলে যাই। কেউ আঘাত দিলে সেটি কখনো ভুলতে পারি না। অথচ আমাদের মনে রাখা উচিত, যারা আমাদের সাহায্য করেছেন; তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আজকের ‘আমি ভুলে গেছি দিবস’ আমাদের সেই সুযোগ করে দেয়, যাতে আমরা উপকারীর প্রতিদান ভুলে না যাই।
আজকের এই দিবস পালনের মাধ্যমে আমরা ভুলে যাওয়ার মজার ঘটনাগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করতে পারি। হাসি-রসাত্মক মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করার পাশাপাশি যারা আমাদের জীবনে উপকার করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগও পেতে পারি। ‘আমি ভুলে গেছি দিবস’ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, কিছু ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যেন আমরা কখনোই ভুলে না যাই। আজকের দিনটি হোক হাসি আর কৃতজ্ঞতায় ভরপুর!