ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেডিকেল কলেজ নিয়ন্ত্রণ চেষ্টার অভিযোগ স্বাচিপ সভাপতির বিরুদ্ধে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • 66

রাজধানীর উত্তরার বেসরকারি শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তিনি বহিরাগতদের নিয়ে ওই মেডিকেল কলেজে গিয়ে নিজের কর্তৃত্ব দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেনের সই করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং ইনস্টিটিউট শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাস্টের বর্তমান চেয়ারম্যান তমাল মনসুর এবং সেক্রেটারি সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৫ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএমএন্ডডিসি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২-এর বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৭ জুন দুপুর ১২টার দিকে স্বাচিপ সভাপতি আনুমানিক ৫০ জন বহিরাগত নিয়ে স্লোগান দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে হঠাৎ প্রবেশ করেন। এরপর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি ২০-২৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষের দপ্তরে যান।

চিঠিতে অধ্যক্ষ আরও বলেন, এসময় আমি তাকে (সভাপতি, স্বাচিপ) বিনয়ের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানাই এবং আগমনের কারণ জানতে চাই। উত্তরে তিনি নিজেকে শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্টের সেক্রেটারি দাবি করেন এবং ট্রাস্টের বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছে জানতে চান। এছাড়াও তার সঙ্গে পরামর্শ করে কলেজ পরিচালনার নির্দেশ দেন।

‘আমি তাকে জানাই, শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্টের বর্তমান সেক্রেটারি তানভীর শাকিল জয় সব বিধি-বিধান মেনে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রাস্টি বোর্ড সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে আমি তাকে বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাই।’

অধ্যক্ষ বলেন, তিনি (সভাপতি, স্বাচিপ) আমাকে বলেন, এখন থেকে তিনি নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসবেন, তার দপ্তর প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেন এবং আমাকে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেন। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয় মর্মে আমি তাকে জানাই।

এসময় ডা. জামাল উদ্দিনের সঙ্গে সেখানে যাওয়া প্রতিষ্ঠানবহির্ভূত লোকজন অধ্যক্ষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, বহিরাগতদের কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম দারুণভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নামে তার পুত্র সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজটির সুনাম রক্ষার্থে বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাচিপ সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, এ হাসপাতালে অনেক অনিয়ম হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এখনো জয়েন্ট স্টক কোম্পানি হিসেবে এ হাসপাতালের ট্রাস্টি হিসেবে আমার নাম আছে। আমি প্রিন্সিপালের সঙ্গে কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। উল্টো প্রিন্সিপাল আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এটি দেখে আমার সঙ্গে থাকা চিকিৎসকরা তাকে থামতে বলেন।

বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন স্বাচিপ সভাপতি।

ট্যাগস

মেডিকেল কলেজ নিয়ন্ত্রণ চেষ্টার অভিযোগ স্বাচিপ সভাপতির বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

রাজধানীর উত্তরার বেসরকারি শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তিনি বহিরাগতদের নিয়ে ওই মেডিকেল কলেজে গিয়ে নিজের কর্তৃত্ব দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেনের সই করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং ইনস্টিটিউট শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাস্টের বর্তমান চেয়ারম্যান তমাল মনসুর এবং সেক্রেটারি সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৫ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএমএন্ডডিসি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২-এর বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৭ জুন দুপুর ১২টার দিকে স্বাচিপ সভাপতি আনুমানিক ৫০ জন বহিরাগত নিয়ে স্লোগান দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে হঠাৎ প্রবেশ করেন। এরপর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি ২০-২৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষের দপ্তরে যান।

চিঠিতে অধ্যক্ষ আরও বলেন, এসময় আমি তাকে (সভাপতি, স্বাচিপ) বিনয়ের সঙ্গে অভ্যর্থনা জানাই এবং আগমনের কারণ জানতে চাই। উত্তরে তিনি নিজেকে শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্টের সেক্রেটারি দাবি করেন এবং ট্রাস্টের বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছে জানতে চান। এছাড়াও তার সঙ্গে পরামর্শ করে কলেজ পরিচালনার নির্দেশ দেন।

‘আমি তাকে জানাই, শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্টের বর্তমান সেক্রেটারি তানভীর শাকিল জয় সব বিধি-বিধান মেনে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রাস্টি বোর্ড সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে আমি তাকে বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাই।’

অধ্যক্ষ বলেন, তিনি (সভাপতি, স্বাচিপ) আমাকে বলেন, এখন থেকে তিনি নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসবেন, তার দপ্তর প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেন এবং আমাকে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেন। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয় মর্মে আমি তাকে জানাই।

এসময় ডা. জামাল উদ্দিনের সঙ্গে সেখানে যাওয়া প্রতিষ্ঠানবহির্ভূত লোকজন অধ্যক্ষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, বহিরাগতদের কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম দারুণভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।

জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নামে তার পুত্র সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজটির সুনাম রক্ষার্থে বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাচিপ সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, এ হাসপাতালে অনেক অনিয়ম হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এখনো জয়েন্ট স্টক কোম্পানি হিসেবে এ হাসপাতালের ট্রাস্টি হিসেবে আমার নাম আছে। আমি প্রিন্সিপালের সঙ্গে কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। উল্টো প্রিন্সিপাল আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এটি দেখে আমার সঙ্গে থাকা চিকিৎসকরা তাকে থামতে বলেন।

বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন স্বাচিপ সভাপতি।