দেশের শেয়ারবাজার দীর্ঘদিন যাবত পতনের বৃত্তে আটকে ছিল। গত এক বছরে শেয়ারবাজারের সূচক খোয়া গেছে হাজার পয়েন্টের বেশি। গত সপ্তাহের শেষদিকে বাজার ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরতে শুরু করে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীরা অনেক দিন শেয়ারবাজারে উত্থানের সেঞ্চুরী প্রত্যক্ষ করে।
আগের দিনের ধারাবাহিকতায় আজ রোববারও (০৭ জুন) শেয়ারবাজারে উত্থান প্রবণতা অব্যাহত থাকে। আজ লেনদেনের শুরুতে সূচকে যেমন চাঙ্গাভাব দেখা যায়, লেনদেনেও দেখা যায় শক্ত বিচরণ। শেষ বেলায় এই ধারা আরও শক্তিশালী হয়ে আবির্ভূত হয়।
আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬১ পয়েন্ট এবং লেনদেন ছাড়িয়েছে ৯০০ কোটি টাকা । যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৭ মে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১১০৮ কোটি টাকা। আজ আগের দিনের চেয়ে ১৩৮০ কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। যা এক দিনের ব্যবধানে প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার এখন তলানিতে অবস্থান করছে। বিনিয়োগের জন্য শেয়ারবাজার এখন সবচেয়ে উত্তম সময়। যারা এখন যাচাই-বাছাই করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করবে, তারা নিঃসন্দেহে লাভবান হবে।
রোববারের বাজার পর্যালোচনা
আজে রোববার (০৭ জুলাই) ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬১.৩৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫৫৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৬.১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৬৪ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৯০৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে ৭৭০ কোটি ৭০ লাখ টাকার।
আজ ডিএসইতে ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩০৫টির, কমেছে ৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএই) আজ লেনদেন হয়েছে ১৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
এদিন সিএসইতে ২৭৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১২টির, কমেছে ৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি প্রতিষ্ঠানের।