ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিএসসির ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গ্রেফতার ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • 41

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসির দুই উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবিরসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এ তালিকায় পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক ভাইরাল হওয়া সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সিয়ামও রয়েছেন।

সোমবার রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ১৫। মামলায় আসামির সংখ্যা অর্ধ শতাধিক দেখানো হয়েছে। আর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১৭ জনকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে ও পলাতকদের গ্রেফতারে পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় ১৭ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।

বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিআইডি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান। বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠতো সংঘবদ্ধ চক্রটি।

সিআইডি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।

এছাড়াও রয়েছেন- সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।

প্রকাশিত সংবাদে বিসিএসের প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচনায় আসেন সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। সেই বাবা-ছেলেকেও গ্রেফতার করেছে সিআইডি। অন্যদিকে সংগঠনের নীতি ও নৈতিকতা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সোহানুর রহমান সিয়ামকে।

ট্যাগস

পিএসসির ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গ্রেফতার ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ১২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসির দুই উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবিরসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এ তালিকায় পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক ভাইরাল হওয়া সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সিয়ামও রয়েছেন।

সোমবার রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ১৫। মামলায় আসামির সংখ্যা অর্ধ শতাধিক দেখানো হয়েছে। আর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১৭ জনকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে ও পলাতকদের গ্রেফতারে পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় ১৭ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।

বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে সিআইডি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান। বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠতো সংঘবদ্ধ চক্রটি।

সিআইডি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।

এছাড়াও রয়েছেন- সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।

প্রকাশিত সংবাদে বিসিএসের প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচনায় আসেন সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। সেই বাবা-ছেলেকেও গ্রেফতার করেছে সিআইডি। অন্যদিকে সংগঠনের নীতি ও নৈতিকতা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সোহানুর রহমান সিয়ামকে।