ঢাকা , বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি আজ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • 38

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে শুনানি হবে আজ।

মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। শুধু এই মামলার শুনানির দিন ধার্যের জন্য ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় চেম্বার বিচারপতির আদালত বসেছিলেন।

গতকাল কোটা নিয়ে রিটকারী পক্ষ নতুন আইনজীবী নিয়োগ করে বিশেষ চেম্বার আদালতে শুনানির আবেদন করে। পরে চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ‍বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন। যেহেতু এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়নি সে হিসেবে বিশেষভাবে চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির (১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের) নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এমন পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী জানান, পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করেছিলেন। এটা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই। এরপর ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ নট টু ডে (আজ শুনানি নয়) আদেশ দেন। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

ট্যাগস

কোটা নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি আজ

আপডেট সময় ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে শুনানি হবে আজ।

মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। শুধু এই মামলার শুনানির দিন ধার্যের জন্য ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় চেম্বার বিচারপতির আদালত বসেছিলেন।

গতকাল কোটা নিয়ে রিটকারী পক্ষ নতুন আইনজীবী নিয়োগ করে বিশেষ চেম্বার আদালতে শুনানির আবেদন করে। পরে চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ‍বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন। যেহেতু এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়নি সে হিসেবে বিশেষভাবে চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির (১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের) নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এমন পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী জানান, পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করেছিলেন। এটা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই। এরপর ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ নট টু ডে (আজ শুনানি নয়) আদেশ দেন। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।