ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জবির ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ, অবস্থা আশঙ্কাজনক

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • 36

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীদের গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীদের নাম জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবি এবং সোমবার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” এর ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সিএমএম কোর্ট সংলগ্ন সড়কের সামনে পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এই গুলি বর্ষণ করেছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস, ১৭তম ব্যাচের অন্তু, অনিকসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

গুলিবিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরিফ বলেন, ‘চার জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ও ১ জনকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় পেয়েছি। গুলিবিদ্ধ চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর ছুরিকাঘাতের একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের এএসপি নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুলির খবর শুনেছি। তবে আমরা একটি গ্রুপকে মিছিল করতে দেখেছি। অন্য গ্রুপ দেখিনি।’

গত ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। রাত নয়টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়েও রাতভর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের হামলা থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে আশ্রয় নেয়। শিক্ষার্থীরা বলেছে, সেখানে তাঁদের ছাত্রলীগ পেটায়।

ট্যাগস

জবির ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ, অবস্থা আশঙ্কাজনক

আপডেট সময় ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীদের গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীদের নাম জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবি এবং সোমবার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” এর ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সিএমএম কোর্ট সংলগ্ন সড়কের সামনে পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এই গুলি বর্ষণ করেছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস, ১৭তম ব্যাচের অন্তু, অনিকসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

গুলিবিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরিফ বলেন, ‘চার জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ও ১ জনকে ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় পেয়েছি। গুলিবিদ্ধ চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর ছুরিকাঘাতের একজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের এএসপি নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুলির খবর শুনেছি। তবে আমরা একটি গ্রুপকে মিছিল করতে দেখেছি। অন্য গ্রুপ দেখিনি।’

গত ১ জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। রাত নয়টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়েও রাতভর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের হামলা থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে আশ্রয় নেয়। শিক্ষার্থীরা বলেছে, সেখানে তাঁদের ছাত্রলীগ পেটায়।