ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা বিনিয়োগ করা হবে ৬ খাতে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • 30

বর্তমানে সময়ে সরকারের অন্যতম বড় প্রজেক্ট হলো সর্বজনীন পেনশন স্কিম। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও দিনে দিনে এর আকার বাড়ছে।

চালুর প্রায় ১১ মাস পর ১৪ জুলাই স্কিমটির টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হবে, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

স্কিমটির অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, পেনশন তহবিলে জমা হওয়া অর্থ বিনিয়োগ করা হবে সরকারি ট্রেজারি বন্ড, বিল, সুকুকসহ ছয়টি খাতে। এ তহবিল ব্যবস্থাপনায় থাকবে আট সদস্যের কমিটি।

বিধিমালায় ছয়টি কম ঝুঁকিপূর্ণ খাত চিহ্নিত করে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। খাতগুলো হলো, সরকারি ট্রেজারি বন্ড, বিল, সুকুক, শেয়ারবাজারের মিউচুয়্যাল ফান্ড, ডাবল এই র‍্যাংকিংয়ে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্থায়ী আমানত, এ ক্যাটাগরির বন্ড এবং সরকারের অবকাঠামো খাত।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, পেনশন স্কিমের অর্থ বেসরকারি কোম্পানি ও বিদেশে বিনিয়োগ করা যাবে না। একক খাত হিসেবে ২৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে না। এই তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ একটি অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করবে।

কমিটি সিকিউরিটিজের সম্ভাব্য মুনাফা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের সুপারিশ করবে। যেকোনো ব্যবসা, অর্থ ও বিনিয়োগের পরিমাণ নিয়েও পরামর্শ দেবে কমিটি।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করতে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প শুরুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এর আওতায় পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে ৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজারই রয়েছে সমতা স্কিমে। তহবিলে জমা হয়েছে শত কোটি টাকা।

ট্যাগস

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা বিনিয়োগ করা হবে ৬ খাতে

আপডেট সময় ০৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

বর্তমানে সময়ে সরকারের অন্যতম বড় প্রজেক্ট হলো সর্বজনীন পেনশন স্কিম। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও দিনে দিনে এর আকার বাড়ছে।

চালুর প্রায় ১১ মাস পর ১৪ জুলাই স্কিমটির টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হবে, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

স্কিমটির অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, পেনশন তহবিলে জমা হওয়া অর্থ বিনিয়োগ করা হবে সরকারি ট্রেজারি বন্ড, বিল, সুকুকসহ ছয়টি খাতে। এ তহবিল ব্যবস্থাপনায় থাকবে আট সদস্যের কমিটি।

বিধিমালায় ছয়টি কম ঝুঁকিপূর্ণ খাত চিহ্নিত করে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। খাতগুলো হলো, সরকারি ট্রেজারি বন্ড, বিল, সুকুক, শেয়ারবাজারের মিউচুয়্যাল ফান্ড, ডাবল এই র‍্যাংকিংয়ে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্থায়ী আমানত, এ ক্যাটাগরির বন্ড এবং সরকারের অবকাঠামো খাত।

বিধিমালায় বলা হয়েছে, পেনশন স্কিমের অর্থ বেসরকারি কোম্পানি ও বিদেশে বিনিয়োগ করা যাবে না। একক খাত হিসেবে ২৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে না। এই তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ একটি অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করবে।

কমিটি সিকিউরিটিজের সম্ভাব্য মুনাফা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের সুপারিশ করবে। যেকোনো ব্যবসা, অর্থ ও বিনিয়োগের পরিমাণ নিয়েও পরামর্শ দেবে কমিটি।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করতে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প শুরুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এর আওতায় পেনশন কর্তৃপক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে ৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজারই রয়েছে সমতা স্কিমে। তহবিলে জমা হয়েছে শত কোটি টাকা।