হুটহাট পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অফিসে গিয়ে হাজির হতে দেখা যায় হিরো আলমকে। আগেও একাধিকবার ডিবি কার্যালয়ে গেছেন তিনি। কখনও তাকে ডেকে নিয়ে গান গাইতে নিষেধ করা হয়েছে, কখনও আদায় করা হয়েছে মুচলেকা। কখনও ফেসবুক পেজ হারিয়ে বা হত্যার হুমকিতে তটস্থ আলম সেখানে অভিযোগ করতে গেছেন নিজেই। আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) তিনি ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন সম্পূর্ণ এক ভিন্ন কারণে।
কেন ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটক সব শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে ডিবি কার্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে গিয়েছিলাম।’ তিনি জানান, বেলা ২টা ১০ মিনিটে তিনি ডিবি কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হন। তিনি আরও বলেন, ‘ডিবিতে অনেক শিক্ষার্থীকে বিনা কারণে ধরে আনা হয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করতে এবং কথা বলতে গিয়েছিলাম। বাইরে অনেক শিক্ষার্থীর মা-বাবা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা তাদের সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের আটক করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হিরো আলম বলেন, ‘সরকার অন্যায় করছে। তারা বলেছিল, আন্দোলনে অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থীকে আটক করবে না, মামলা দেবে না, হয়রানি করবে না। কিন্তু সরকার কথা রাখছে না। শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে তুলে আনছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
বেশ কয়েক বছর আগে ইউটিউবে গানের ভিডিওর মডেল হয়ে নেতিবাচক আলোচনা জন্ম দেন আলম। একসময় সিনেমায়ও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। এরপর গান গেয়ে আবারও সমালোচিত হন তিনি। বন্যাসহ নানা বিপর্যয়ের সময় দুস্থ মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েও আলোচিত হন তিনি। এমনকি তাকে নিয়ে খবর প্রকাশিত হয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও।
সর্বশেষ কলকাতার দুটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘নীলে গেম’ ও ‘মিয়া ভাই’ নামের ছবি দুটিতে শুটিংও সম্পন্ন করেছেন তিনি। ছবি দুটির পরিচালক জামাল উদ্দিন। আলমের বেশ কয়েকটি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।