কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা মহানগরীর রেসকোর্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবিতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যান। একপর্যায়ে মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা ধাওয়া দেন। এসময় ২০টিরও বেশি গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরও ১৫ জন। গুলিবিদ্ধদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এছাড়া ভিক্টোরিয়া কলেজ উচ্চমাধ্যমিক শাখা সড়কে দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ ঘটনায়ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সেখ ফজলে রাব্বি জানান, আন্দোলনকারী পাঁচজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতারে ভর্তি করা হয়ছে। তারা গুলিবিদ্ধ কি না তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হঠাৎ করে হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।
তবে কতজন আহত হয়েছেন তিনি এর সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে পারেননি।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খোকন বলেন, শিক্ষার্থীদের মিছিলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-ছাত্রদল ঢুকে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। যে কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিনি।