প্রধানমন্ত্রী চাইলে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আন্দোলনকারীদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে যদি এরকম কোনো সিচুয়েশন আসে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন…আমরা সবসময় দেশের জন্য কাজ করি, আমরা সেটা (পদত্যাগ) করব যদি প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।’
এসময় ঢাকা জেলা ও মহানগর, গাজীপুর ও নরসিংদীতে কারফিউ অব্যাহত থাকবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান।
চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতিসংঘের দেওয়া ৩২ জন শিশু নিহতের তথ্য তুলে ধরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুর সংজ্ঞাটা আপনি হয়তো সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। মানে একটা সংজ্ঞা আছে, শিশু কাকে বলে। ১৮ বছরের বয়সীকে কিশোর বলে, শিশু বলে না। আর ১৮ বছরে আমার মনে হয়, সে যৌবনপ্রাপ্ত হয়ে যায়। সে তখন আর কিশোরও থাকে না। সে একটা যুবক, আমাদের মতে।
‘কিন্তু যেহেতু বয়সের একটা সীমারেখা রয়েছে, সেজন্য তাকে এখন কিশোর বলা হয়। কোনো শিশু এখানে মারা যায়নি। শিশু বলতে আমরা যা বুঝি, কোনো শিশু মারা যায়নি। এখানে হয়তো দু-একজন কিশোর মারা গিয়েছে,’ বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন এই আন্দোলনের সময় ঢাল হিসেবে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা সামনে ছিল, পেছনে ছিল যারা আসল। তাদের চেহারাটা… শিশুদের আড়ালেই তারা ছিল। পেছনের শক্তিকে রুখতে এই ঘটনাগুলি ঘটেছে।’
আগামী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘অসহযোগ আন্দোলন’ কর্মসূচির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা এটা ভুল আন্দোলন করছেন বলে আমি মনে করি। যেহেতু তাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে সুতরাং তাদের এ সমস্ত… এ অসহযোগ আন্দোলন আমার মনে হয় তাদের তুলে নেওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আন্দোলনের পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি।’
কাদের গুলিতে মানুষ মারা গিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আজকে গুলির যে তথ্যগুলো আমরা পেয়েছি এর অনেকগুলোই পুলিশের রাইফেলের গুলি না। পুলিশ ইউজ করে না এগুলো।’
সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যুবলীগের নেতা বাধা দিতে গেছে। গুলি করতে যায় নাই। আপনি নিশ্চয়ই জানেন আমার ছাত্রলীগের নেতা কয়জন মারা গেছে। আওয়ামী লীগের নেতা কয়জন মারা গেছে। সেটা জিজ্ঞেস না করে উল্টোটা বলছেন।’