সীমাহীন অত্যাচার, অন্যায়, জুলুম, দুর্নীতির পর অবশেষে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বিদেশ পালিয়েছেন। হাসিনা সরকারের পতনের প্রথম কর্মদিবসে দেশের শেয়ারবাজার বড় হাসি হেসেছে। এদিন শেয়ারবাজার অসহায় বিনিয়োগকারীদের আশার আলো দেখিয়েছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ মঙ্গলবার প্রধান সূচক বেড়েছে ১৯৭ পয়েন্টের বেশি। গত তিন বছরের মধ্যে এটি শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ উত্থান। এদিন লেনদেনেও ছিল প্রত্যাশার ছোঁয়া।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৭ হাজার ১০৫ পয়েন্ট। এরপর থেকেই শেয়ারবাজারে থেমে থেমে পতনের ছোবল। ধারাবাহিক পতনে ২ বছর ৭ মাসে ডিএসইর সূচক কমেছে ১ হাজার ৬৭৯ পয়েন্ট। অথচ এরমধ্যে শেয়ারবাজারে নতুন আইপিও শেয়ার এসেছে ২০টির বেশি। যেগুলোর মূলধন সূচকে যোগ হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সময়ে বাজারে তারল্য সংকটের কারণে যতটা কমেছে, তারচেয়ে বেশি কমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসির লুটপাটে শেয়ারবাজারের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা শিবলী রুবাইয়াত ও তার দোসরদের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত দাবি করেছেন।
মঙ্গলবারের বাজার পর্যালোচনা
আজ মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৯৭.১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৩২.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ১১৭৬ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৭৫.৭১ পয়েন্ট বেড়ে ১৯৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৭৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২০৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আজ লেনদেন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ গুণেরও বেশি।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৮টি কোম্পানির, বিপরীতে ৬০ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।