তরুণ সমাজকে দ্বিধাবিভক্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী। দেশের নতুন অগ্রযাত্রায় সংশ্লিষ্টদের শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অনাগত দিনগুলোতে সবার জন্য শান্তি ও স্বস্তি প্রত্যাশা করেছেন এই শিল্পী।
গানের মানুষ হলেও সমাজসচেতন ফাহমিদা নবী। সংগীতাঙ্গন এবং দেশের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে সরব তিনি। অসংগতি দেখলেও সরব হন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অন্তরবর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী? জানতে চাইলে আজ (৯ আগস্ট) শুক্রবার ফাহমিদা নবী বলেন, ‘দেশের নতুন অগ্রযাত্রায় সংশ্লিষ্টদের শুভকামনা জানাই। আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। আসছে দিনগুলো সবার জন্য শান্তি ও স্বস্তিময় হোক। দেশে আর যেন অস্থির সময় না আসে। আমরা আর কোনো সহিংসতা চাই না।’
শিল্পীদের কাছে তার প্রত্যাশা কী? সে প্রসঙ্গে ফাহমিদা বলেন, ‘সমাজ গঠনে সংস্কৃতির ভূমিকা অনেক বড়। আমরা শিল্পীরা দেশের সংস্কৃতি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিই। এ কাজটি যেন যোগ্য মানুষের দ্বারা হয়। যারা দেশের সংস্কৃতির ধারক-বাহক, তাদের সুন্দর ও সুস্থ জীবনের অধিকারী হতে হয়। কিন্তু তারা অধিকাংশই নানান সমস্যায় আছেন। তাদের সব সমস্যা সমাধানের বিষয়েও নজর রাখতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ফাহদিমা নবী। সম্প্রতি তিনি সেখান থেকে দেশে ফিরেছেন। নতুন একটি গানও অবমুক্ত হয়েছে এই শিল্পীর। এসেই দেখেন অস্থির দেশ। দেশের স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আর কোনো প্রশ্নে তরুণ সমাজের দ্বিধাবিভক্ত হওয়া চলবে না, আমাদের প্রত্যেককে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে এখন শান্ত হতে হবে। মোটকথা সম্মিলিত প্রয়াসে দেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সব কাজ গুছিয়ে করতে হবে। মানুষের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে।’
১৯৭৯ সালে পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয় ফাহমিদা নবীর। আধুনিক, শাস্ত্রীয়, রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত চর্চা করেন তিনি। তার অ্যালবামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘এক মুঠো গান’, ‘দুপুরের একলা পাখি’, ‘মনে কি পড়ে না’, ‘আমার বেলা যে যায়’, ‘আকাশ ও সমুদ্র ওপার’, ‘স্বপ্ন গল্প’, ‘ছাত্র দেয়াল হঠাৎ খেয়াল’, ‘পরস্পর’, ‘ফড়িং’, ‘তুমি কি সেই তুমি’। ২০০৬ সালে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশিত হয় তার ‘এক মুঠো গান’ অ্যালবামটি। ২০১০ সালের ভালোবাসা দিবসে বের হয় দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘এক মুঠো গান-২’। তিনি চলচ্চিত্রেও গান করেছেন।