ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • 33

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংকগুলোতে নানা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে ব্যাংকগুলো নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু কিছু ব্যাংকে শেয়ারধারী, বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কিছু কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোচরীভূত হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকের মালিকানা সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তি বা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পেশের সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এই ধরনের কার্যকলাপ ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও লেনদেনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। যা ব্যাংকের ওপর আমানতকারীদের আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে।

দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ব্যাংকিং খাতে এরূপ বিশৃঙ্খলা একান্তই অনভিপ্রেত। এমন পরিস্থিতিতে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫৭(১) অনুযায়ী, ব্যাংকের দপ্তরে বা কার্যস্থলে আমানতকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শৃঙ্খলা-পরিপন্থীএই ধরনের কার্যকলাপ উল্লিখিত আইনের ধারা ৫৭(২) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ট্যাগস

শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ

আপডেট সময় ০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংকগুলোতে নানা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে ব্যাংকগুলো নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু কিছু ব্যাংকে শেয়ারধারী, বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কিছু কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোচরীভূত হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকের মালিকানা সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তি বা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পেশের সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এই ধরনের কার্যকলাপ ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও লেনদেনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। যা ব্যাংকের ওপর আমানতকারীদের আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে।

দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ব্যাংকিং খাতে এরূপ বিশৃঙ্খলা একান্তই অনভিপ্রেত। এমন পরিস্থিতিতে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫৭(১) অনুযায়ী, ব্যাংকের দপ্তরে বা কার্যস্থলে আমানতকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শৃঙ্খলা-পরিপন্থীএই ধরনের কার্যকলাপ উল্লিখিত আইনের ধারা ৫৭(২) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।