ঢাকা , সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণের ২,৩১০ কোটি টাকা মওকুফ এস আলম গ্রুপের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 37

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ঋণের ২,৩১০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করতে বাধ্য হয় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এস আলম গ্রুপের ৮টি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়াদে মোট ১৩টি ঋণ নিয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে এসব ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৪,৬১৯ কোটি টাকা।

২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ করে অবশিষ্ট ঋণ পুনঃগঠন করার পরামর্শ দিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ গ্রহণকারী প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক চিঠি পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এর তৎকালীন যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে সুদ মওকুফের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ঋণ হিসাবগুলোর সুদ মওকুফের পর গ্রাহকের বিদ্যমান সকল ঋণ হিসাবের অবশিষ্ট বকেয়া স্থিতি ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে এককালীন সমন্বয় করতে হবে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে এই সুদ মওকুফ ও অবশিষ্ট ঋণস্থিতি একালীন সমন্বয় সুবিধা অনুমোদনের পর তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমন্বয় না হলে আলোচ্য সুদ মওকুফ ও এককালীন সমন্বয় সুবিধা বাতিল মর্মে গণ্য হবে।’

ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পরামর্শ ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশনায় ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর এক অর্ডারে এস আলম গ্রুপ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৩টি ঋণের সুদ বাবদ ২,৩১০ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়।

যেসব কোম্পানির সুদ মওকুফ করা হয়েছে সেগুলো হলো-নাফ ট্রেডিং ২৪৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, আদিল কর্পোরেশন ১৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকা, পুষ্টি ভেজিটেবল ঘি ৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা, এস আলম অ্যান্ড কোম্পানি ২৮২ কোটি ৩১ লাখ টাকা, এস আলম কোম্পানি ১৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ২৫৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ৬৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, এস আলম ব্রাদার্স ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, এস আলম ব্রাদার্স ৩২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ফেয়ারী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৪১কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ফেয়ারী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৮১কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ৭৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

ট্যাগস

ঋণের ২,৩১০ কোটি টাকা মওকুফ এস আলম গ্রুপের

আপডেট সময় ০৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক ঋণের ২,৩১০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করতে বাধ্য হয় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এস আলম গ্রুপের ৮টি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়াদে মোট ১৩টি ঋণ নিয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে এসব ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৪,৬১৯ কোটি টাকা।

২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ করে অবশিষ্ট ঋণ পুনঃগঠন করার পরামর্শ দিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ গ্রহণকারী প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক চিঠি পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এর তৎকালীন যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে সুদ মওকুফের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ঋণ হিসাবগুলোর সুদ মওকুফের পর গ্রাহকের বিদ্যমান সকল ঋণ হিসাবের অবশিষ্ট বকেয়া স্থিতি ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে এককালীন সমন্বয় করতে হবে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে এই সুদ মওকুফ ও অবশিষ্ট ঋণস্থিতি একালীন সমন্বয় সুবিধা অনুমোদনের পর তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমন্বয় না হলে আলোচ্য সুদ মওকুফ ও এককালীন সমন্বয় সুবিধা বাতিল মর্মে গণ্য হবে।’

ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পরামর্শ ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশনায় ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর এক অর্ডারে এস আলম গ্রুপ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৩টি ঋণের সুদ বাবদ ২,৩১০ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়।

যেসব কোম্পানির সুদ মওকুফ করা হয়েছে সেগুলো হলো-নাফ ট্রেডিং ২৪৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, আদিল কর্পোরেশন ১৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকা, পুষ্টি ভেজিটেবল ঘি ৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা, এস আলম অ্যান্ড কোম্পানি ২৮২ কোটি ৩১ লাখ টাকা, এস আলম কোম্পানি ১৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ২৫৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ৬৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, এস আলম ব্রাদার্স ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, এস আলম ব্রাদার্স ৩২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ফেয়ারী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৪১কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ফেয়ারী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৮১কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং এস আলম সুপার এডিবল অয়েল ৭৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।