ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গবেষণায় চিকিৎসকদের নজর দিবে হবে: প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • 355

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গবেষণার দিকে একটু নজর দেবেন। গবেষণা করতে যা লাগে সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে। যত টাকা লাগে আমরা দেব। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গবেষণা অপরিহার্য। সেদিকে আপনারা আরো এগিয়ে আসবেন।

তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার খুব অভাব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা হচ্ছে না। হাতেগোনা কয়েকজন গবেষণা করে থাকেন। বর্তমান যুগে গবেষণা একান্ত অপরিহার্য। গবেষণার জন্য আমরা বিশেষ অনুদানও দেই। আপনারা দয়া করে একটু গবেষণার দিকে দৃষ্টি দেবেন। আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব আমরা দেখছি।

চিকিৎসকরা ঢাকা-কেন্দ্রিক বেশি থাকতে চায়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই ঢাকায় থাকতে চায়, ঢাকার বাইরে কেউ থাকতে চায় না। এখন আমাদের প্রত্যেকটা গ্রামে বিদ্যুৎ আছে, প্রত্যেকটা গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। গ্রাম পর্যায়ে ওয়াইফাই কানেকশন আছে। আমরা সরকারিভাবেই বিভিন্ন উপজেলায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যে যেই দায়িত্ব পাবেন সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন, সেটাই আমরা চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা স্থাপন করি। চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নতমানের করতে বিশেষায়িত অনেকগুলো ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মানুষকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম মেডিকেল কলেজ। এখানকার চিকিৎসকরা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক জেলা হাসপাতালে অপারেশন হয় না কারণ ডাক্তার থাকে না, নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি গাইনি ডাক্তার, তারা অনেক উপজেলা হাসপাতালে থাকেন না, সেজন্য চিকিৎসা বা অপারেশন হয় না। এই বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে সবাইকে। আমরা এক একটা গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে চাইছি। নাগরিক সব সেবা গ্রামের সবাই পাবে। উপজেলা পর্যায়ে যেন এই সেবাটা নিশ্চিত হয়। এতগুলো হাসপাতাল, এত সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছি, সেখানে যদি যন্ত্রপাতি পড়ে থাকে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার হয় না। নতুন আধুনিক যে যন্ত্রপাতি আছে সেগুলোর জন্য ট্রেনিং দেওয়াতে হবে। দেশে না হোক বাইরে থেকেও ট্রেনিং করে নিয়ে আসতে হবে। সেগুলোর দিকে সবাই দৃষ্টি রাখুক আমি সেটাই চাই।

ট্যাগস

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গবেষণায় চিকিৎসকদের নজর দিবে হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গবেষণার দিকে একটু নজর দেবেন। গবেষণা করতে যা লাগে সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে। যত টাকা লাগে আমরা দেব। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের গবেষণা অপরিহার্য। সেদিকে আপনারা আরো এগিয়ে আসবেন।

তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার খুব অভাব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা হচ্ছে না। হাতেগোনা কয়েকজন গবেষণা করে থাকেন। বর্তমান যুগে গবেষণা একান্ত অপরিহার্য। গবেষণার জন্য আমরা বিশেষ অনুদানও দেই। আপনারা দয়া করে একটু গবেষণার দিকে দৃষ্টি দেবেন। আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব আমরা দেখছি।

চিকিৎসকরা ঢাকা-কেন্দ্রিক বেশি থাকতে চায়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই ঢাকায় থাকতে চায়, ঢাকার বাইরে কেউ থাকতে চায় না। এখন আমাদের প্রত্যেকটা গ্রামে বিদ্যুৎ আছে, প্রত্যেকটা গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। গ্রাম পর্যায়ে ওয়াইফাই কানেকশন আছে। আমরা সরকারিভাবেই বিভিন্ন উপজেলায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যে যেই দায়িত্ব পাবেন সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন, সেটাই আমরা চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা স্থাপন করি। চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নতমানের করতে বিশেষায়িত অনেকগুলো ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মানুষকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম মেডিকেল কলেজ। এখানকার চিকিৎসকরা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক জেলা হাসপাতালে অপারেশন হয় না কারণ ডাক্তার থাকে না, নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি গাইনি ডাক্তার, তারা অনেক উপজেলা হাসপাতালে থাকেন না, সেজন্য চিকিৎসা বা অপারেশন হয় না। এই বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে সবাইকে। আমরা এক একটা গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে চাইছি। নাগরিক সব সেবা গ্রামের সবাই পাবে। উপজেলা পর্যায়ে যেন এই সেবাটা নিশ্চিত হয়। এতগুলো হাসপাতাল, এত সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছি, সেখানে যদি যন্ত্রপাতি পড়ে থাকে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার হয় না। নতুন আধুনিক যে যন্ত্রপাতি আছে সেগুলোর জন্য ট্রেনিং দেওয়াতে হবে। দেশে না হোক বাইরে থেকেও ট্রেনিং করে নিয়ে আসতে হবে। সেগুলোর দিকে সবাই দৃষ্টি রাখুক আমি সেটাই চাই।