ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘গুলি করি, মরে একটা, বাকিডি যায় না স্যার’ বলা ডিসি এবার ডিবি হেফাজতে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • 24

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলির একটি ভিডিও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেখাচ্ছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। ভিডিও দেখিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কামালকে বলছিলেন, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’

ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে। ভিডিওতে পুলিশ সদস্যের নেমপ্লেটে নাম দেখা গেছে ইকবাল।

তার নাম মোহাম্মাদ ইকবাল। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারি বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) ছিলেন। তাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীতে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় তাকে। এক সূত্রে জানা গেছে, তিনি এখন ডিএমপির ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।

আন্দোলনের সময় মোহাম্মদ ইকবাল ওয়ারি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকা তার আওতাধীন ছিল। আন্দোলনের সময় এই দু’টি জায়গাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আন্দোলনের মোট নিহতদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুলিশ ও জনতা হতাহত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া এলাকায়।

ট্যাগস

‘গুলি করি, মরে একটা, বাকিডি যায় না স্যার’ বলা ডিসি এবার ডিবি হেফাজতে

আপডেট সময় ০১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর পুলিশের নির্বিচারে গুলির একটি ভিডিও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেখাচ্ছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। ভিডিও দেখিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কামালকে বলছিলেন, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’

ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে। ভিডিওতে পুলিশ সদস্যের নেমপ্লেটে নাম দেখা গেছে ইকবাল।

তার নাম মোহাম্মাদ ইকবাল। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারি বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) ছিলেন। তাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীতে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় তাকে। এক সূত্রে জানা গেছে, তিনি এখন ডিএমপির ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।

আন্দোলনের সময় মোহাম্মদ ইকবাল ওয়ারি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকা তার আওতাধীন ছিল। আন্দোলনের সময় এই দু’টি জায়গাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আন্দোলনের মোট নিহতদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুলিশ ও জনতা হতাহত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া এলাকায়।