ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওরিয়ন ফার্মাকে ১৩২ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • 21

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন গ্রুপের ওষুধ কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডকে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক থেকে ফোর্সড/ডিমান্ড ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে কোম্পানিটির ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত যখন কোনো ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণপত্রের অর্থ দিতে ব্যর্থ হন, তখন সেই পরিমাণ অর্থ ফোর্সড বা ডিমান্ড ঋণে পরিণত হয়। কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বিদেশি ব্যাংকের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের মধ্যে ২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী, যে কোনো ফোর্স বা ডিমান্ড ঋণ পুনঃতফসিল ও পরিশোধের সময়সীমা দুই বছর বা তার বেশি সময় বাড়াতে হলে ঋণের বিপরীতে শতভাগ জামানত দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংক ওরিয়ন ফার্মার মোট ১ হাজার ৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে ১৩২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। একইসঙ্গে এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ছয় বছর বাড়ানো হয়। অথচ কোম্পানিটির প্রায় ৫৪৭ কোটি টাকার জামানত ঘাটতি ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত মে মাসে অগ্রণী ব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানায়, ওষুধ উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে ওরিয়ন ফার্মার ক্ষেত্রে এই সমঝোতা স্মারকের শর্ত প্রযোজ্য হবে না।

তবে অগ্রণী ব্যাংকের ওপর দুটি শর্ত আরোপ করেছিল ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। একটি হচ্ছে- ওরিয়ন ফার্মাকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ৫৪৭ কোটি টাকার জামানত ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অন্যটি হচ্ছে- প্রতি তিন মাস পর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জামানত সংগ্রহের পরিস্থিতি নিয়ে আপডেট তথ্য জানাতে হবে।

এদিকে গত মে মাসে অগ্রণী ব্যাংক পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। তখন দেখা যায়, ১৩২ কোটি ১৮ লাখ টাকার ডিমান্ড ঋণ তৈরির ফলে ওরিয়ন ফার্মার মোট ঋণ ব্যাংক কোম্পানি আইনের একক ঋণগ্রহীতার এক্সপোজার সীমা অতিক্রম করেছে।

আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি একক গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে না।

এর আগে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ওরিয়ন ফার্মার মোট ঋণ একক ঋণগ্রহীতার এক্সপোজার সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে অগ্রণী ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথিতে দেখা যায়, ওরিয়ন ফার্মাকে যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ৯৬৩ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। এর একটি অংশ পরে ফোর্সড ঋণে পরিণত হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকে ওরিয়ন ফার্মার মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

ট্যাগস

ওরিয়ন ফার্মাকে ১৩২ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা

আপডেট সময় ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন গ্রুপের ওষুধ কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডকে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক থেকে ফোর্সড/ডিমান্ড ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে কোম্পানিটির ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত যখন কোনো ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণপত্রের অর্থ দিতে ব্যর্থ হন, তখন সেই পরিমাণ অর্থ ফোর্সড বা ডিমান্ড ঋণে পরিণত হয়। কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বিদেশি ব্যাংকের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের মধ্যে ২০২৩ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী, যে কোনো ফোর্স বা ডিমান্ড ঋণ পুনঃতফসিল ও পরিশোধের সময়সীমা দুই বছর বা তার বেশি সময় বাড়াতে হলে ঋণের বিপরীতে শতভাগ জামানত দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংক ওরিয়ন ফার্মার মোট ১ হাজার ৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে ১৩২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। একইসঙ্গে এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ছয় বছর বাড়ানো হয়। অথচ কোম্পানিটির প্রায় ৫৪৭ কোটি টাকার জামানত ঘাটতি ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত মে মাসে অগ্রণী ব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানায়, ওষুধ উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে ওরিয়ন ফার্মার ক্ষেত্রে এই সমঝোতা স্মারকের শর্ত প্রযোজ্য হবে না।

তবে অগ্রণী ব্যাংকের ওপর দুটি শর্ত আরোপ করেছিল ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। একটি হচ্ছে- ওরিয়ন ফার্মাকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ৫৪৭ কোটি টাকার জামানত ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অন্যটি হচ্ছে- প্রতি তিন মাস পর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জামানত সংগ্রহের পরিস্থিতি নিয়ে আপডেট তথ্য জানাতে হবে।

এদিকে গত মে মাসে অগ্রণী ব্যাংক পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। তখন দেখা যায়, ১৩২ কোটি ১৮ লাখ টাকার ডিমান্ড ঋণ তৈরির ফলে ওরিয়ন ফার্মার মোট ঋণ ব্যাংক কোম্পানি আইনের একক ঋণগ্রহীতার এক্সপোজার সীমা অতিক্রম করেছে।

আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি একক গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে না।

এর আগে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ওরিয়ন ফার্মার মোট ঋণ একক ঋণগ্রহীতার এক্সপোজার সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে অগ্রণী ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথিতে দেখা যায়, ওরিয়ন ফার্মাকে যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ৯৬৩ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। এর একটি অংশ পরে ফোর্সড ঋণে পরিণত হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকে ওরিয়ন ফার্মার মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।