ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যরাতে নারীদের ‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • 23

নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ দূর করা, নিপীড়নমূলক ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনসহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে রাজধানীতে নেমেছিলেন নারীরা। শাহবাগে চতুর্থবারের মতো তারা পালন করলেন ‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’ কর্মসূচি।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে শাহবাগে জড়ো হন অনেকে। ১১টা ৫৯মিনিটে শুরু হয় এ পদযাত্রা। এসময় হাতে মশাল নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত বিপ্লবের ফসল হিসেবে ১৫ বছরের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটেছে। এতদিন পিতৃতান্ত্রিক এবং নিপীড়নমূলক ক্ষমতা কাঠামো দেখেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সেই অপসংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। ২০২০ সালের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া ‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’ চতুর্থ বারের মতো রাজপথে নামলো।

তারা আরও বলেন, দিনে বা রাতে, আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে, নারী হিসেবে আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায় সরকারের। অপরাধ সংঘটিত হলেই মেয়েরা এতো রাতে বাইরে কেন? চলমান এই সামাজিক ট্যাবুর মুখ আমরা আজীবনের জন্য বন্ধ করে দিতে চাই।

এ কর্মসূচির আয়োজক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে নারীরা নিরাপদবোধ করেন না। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ধর্ষণের বিচার করার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রমাণ করতে হবে তারা জনবান্ধব, নারীবান্ধব সরকার।

ট্যাগস

মধ্যরাতে নারীদের ‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’

আপডেট সময় ১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ দূর করা, নিপীড়নমূলক ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনসহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে রাজধানীতে নেমেছিলেন নারীরা। শাহবাগে চতুর্থবারের মতো তারা পালন করলেন ‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’ কর্মসূচি।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে শাহবাগে জড়ো হন অনেকে। ১১টা ৫৯মিনিটে শুরু হয় এ পদযাত্রা। এসময় হাতে মশাল নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত বিপ্লবের ফসল হিসেবে ১৫ বছরের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটেছে। এতদিন পিতৃতান্ত্রিক এবং নিপীড়নমূলক ক্ষমতা কাঠামো দেখেছি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সেই অপসংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। ২০২০ সালের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া ‘শেকল ভাঙার পদযাত্রা’ চতুর্থ বারের মতো রাজপথে নামলো।

তারা আরও বলেন, দিনে বা রাতে, আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে, নারী হিসেবে আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায় সরকারের। অপরাধ সংঘটিত হলেই মেয়েরা এতো রাতে বাইরে কেন? চলমান এই সামাজিক ট্যাবুর মুখ আমরা আজীবনের জন্য বন্ধ করে দিতে চাই।

এ কর্মসূচির আয়োজক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে নারীরা নিরাপদবোধ করেন না। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ধর্ষণের বিচার করার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রমাণ করতে হবে তারা জনবান্ধব, নারীবান্ধব সরকার।