ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের ক্ষুধার্ত জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই গাজার বাসিন্দা: জাতিসংঘ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 12

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বের দুর্ভিক্ষপীড়িত জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ ছিল গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। খাদ্যের অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মাইকেল ফাখরি এ তথ্য জানান।

বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, মাইকেল ফাখরি বলেছেন, যুদ্ধের ইতিহাসে এরকম দ্রুত গতিতে কোনো জাতি দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধাপীড়িত হবার রেকর্ড নেই। এ অঞ্চলে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির দুর্ভিক্ষপীড়িত হবার ঘটনা নজিরবিহীন বলে তিনি মন্তব্য করেন। ৭৬ বছর আগে, অবৈধ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার ইতিহাস শুরু হয়। তারপর থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্ষুধার্ত রাখার নীতির দিকে ঝুঁকেছে বলে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদক উল্লেখ করেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক সম্প্রতি গাজা উপত্যকার জনগণকে সাহায্য করার জন্য এই সংস্থাসহ জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা আনরাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন।

মুখপাত্র আরও বলেছেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কেও ছেড়ে গেছে। যদিও ৭ লাখেরও বেশি খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে, তবু খাদ্য সহায়তা বিতরণের পরিমাণ জুলাইয়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কমে গেছে।

২০২৩ সালর ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৭০ শতাংশ বাড়িঘর এবং অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে নৃশংস অবরোধের কারণে নজিরবিহীন দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধায় গুরুতর মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্টেফান ডুজারিক।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি নিহতদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার ৯৩৯ এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৬১৬ জনে। পার্সটুডে

ট্যাগস

বিশ্বের ক্ষুধার্ত জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই গাজার বাসিন্দা: জাতিসংঘ

আপডেট সময় ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বের দুর্ভিক্ষপীড়িত জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ ছিল গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। খাদ্যের অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক মাইকেল ফাখরি এ তথ্য জানান।

বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, মাইকেল ফাখরি বলেছেন, যুদ্ধের ইতিহাসে এরকম দ্রুত গতিতে কোনো জাতি দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধাপীড়িত হবার রেকর্ড নেই। এ অঞ্চলে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির দুর্ভিক্ষপীড়িত হবার ঘটনা নজিরবিহীন বলে তিনি মন্তব্য করেন। ৭৬ বছর আগে, অবৈধ ইসরাইল প্রতিষ্ঠার থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার ইতিহাস শুরু হয়। তারপর থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্ষুধার্ত রাখার নীতির দিকে ঝুঁকেছে বলে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদক উল্লেখ করেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক সম্প্রতি গাজা উপত্যকার জনগণকে সাহায্য করার জন্য এই সংস্থাসহ জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা আনরাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন।

মুখপাত্র আরও বলেছেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কেও ছেড়ে গেছে। যদিও ৭ লাখেরও বেশি খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে, তবু খাদ্য সহায়তা বিতরণের পরিমাণ জুলাইয়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কমে গেছে।

২০২৩ সালর ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার ৭০ শতাংশ বাড়িঘর এবং অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে নৃশংস অবরোধের কারণে নজিরবিহীন দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধায় গুরুতর মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্টেফান ডুজারিক।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি নিহতদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার ৯৩৯ এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৬১৬ জনে। পার্সটুডে