ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাংক খাতের শেয়ার নিয়ে নতুন আশা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 20

পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বশেষ ২৯ কার্যদিবসে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে প্রায় প্রতিদিন খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত। এর ফলে এ খাত নিয়ে নতুন করে আশার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়। এছাড়া পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে দশটি ব্যাংকের । একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও এ খাত নিয়ে আস্থা বেড়েছে।

ডিএসইর দৈনিক বাজার প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি সেপ্টেম্বরের ১০ কার্যদিবসে ব্যাংক খাতে মোট ১ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগের মাসে অর্থাৎ আগস্টের ১৯ কার্যদিবসে খাতটিতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। সে হিসাবে ২৯ কার্যদিবসে এক্সচেঞ্জটিতে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৫৯ কোটি টাকায়। ডিএসইতে গত আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহে ব্যাংক খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন দেখা গেছে। সর্বশেষ গত তিন সপ্তাহে এ খাতে কিছুটা নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর আগে জুলাই, জুন ও মে মাসে ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে যথাক্রমে ৯৩১ কোটি, ৫০০ কোটি ও ৮৫৪ কোটি টাকা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত আগস্টে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২ হাজার ৬৫৫ কোটি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি ও বস্ত্র খাতে ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগে জুনে খাত তিনটিতে লেনদেন হয়েছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৫১৭ কোটি, ১ হাজার ২৫২ কোটি ও ৮১৬ কোটি টাকা। এছাড়া মে মাসে এসব খাতে লেনদেন হয়েছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৯০৯ কোটি, ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ও ১ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা।

গত আগস্টে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা, আগের মাসে যা হয়েছিল ১১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। দৈনিক গড় হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে গত মাসে লেনদেন হয়েছে ৮৬২ কোটি টাকা, আগের মাসে যা ছিল ৬১৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে মাসের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে গত জুলাইয়ে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা, যা আগস্ট শেষে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, সবশেষ গতকাল ডিএসইতে বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৯ কোটি টাকায়।

গতকাল দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫৭২৭ পয়েন্টে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৭১৪ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২৪১ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০১ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১০৮ পয়েন্ট। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ইসলামী ব্যাংক, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, বীকন ফার্মা, ইউসিবি ও কোহিনূর কেমিক্যালসের শেয়ারের।

ট্যাগস

ব্যাংক খাতের শেয়ার নিয়ে নতুন আশা

আপডেট সময় ১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সর্বশেষ ২৯ কার্যদিবসে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে প্রায় প্রতিদিন খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত। এর ফলে এ খাত নিয়ে নতুন করে আশার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু হয়। এছাড়া পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে দশটি ব্যাংকের । একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও এ খাত নিয়ে আস্থা বেড়েছে।

ডিএসইর দৈনিক বাজার প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি সেপ্টেম্বরের ১০ কার্যদিবসে ব্যাংক খাতে মোট ১ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগের মাসে অর্থাৎ আগস্টের ১৯ কার্যদিবসে খাতটিতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। সে হিসাবে ২৯ কার্যদিবসে এক্সচেঞ্জটিতে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৫৯ কোটি টাকায়। ডিএসইতে গত আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহে ব্যাংক খাতের শেয়ারে ইতিবাচক রিটার্ন দেখা গেছে। সর্বশেষ গত তিন সপ্তাহে এ খাতে কিছুটা নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর আগে জুলাই, জুন ও মে মাসে ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে যথাক্রমে ৯৩১ কোটি, ৫০০ কোটি ও ৮৫৪ কোটি টাকা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত আগস্টে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২ হাজার ৬৫৫ কোটি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি ও বস্ত্র খাতে ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগে জুনে খাত তিনটিতে লেনদেন হয়েছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৫১৭ কোটি, ১ হাজার ২৫২ কোটি ও ৮১৬ কোটি টাকা। এছাড়া মে মাসে এসব খাতে লেনদেন হয়েছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৯০৯ কোটি, ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ও ১ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা।

গত আগস্টে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা, আগের মাসে যা হয়েছিল ১১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। দৈনিক গড় হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে গত মাসে লেনদেন হয়েছে ৮৬২ কোটি টাকা, আগের মাসে যা ছিল ৬১৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে মাসের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে গত জুলাইয়ে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার কোটি টাকা, যা আগস্ট শেষে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, সবশেষ গতকাল ডিএসইতে বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৯ কোটি টাকায়।

গতকাল দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫৭২৭ পয়েন্টে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৭১৪ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২৪১ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০১ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১০৮ পয়েন্ট। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ইসলামী ব্যাংক, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, বীকন ফার্মা, ইউসিবি ও কোহিনূর কেমিক্যালসের শেয়ারের।