ঢাকা , শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 12

খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে রাঙামাটি শহরও। সেখানে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়েছে।

ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানপাট। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। উত্তেজনা বিরাজ করায় শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর দেড়টায় ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরে শত শত পাহাড়ি জনতা মিছিল বের করে। সেই মিছিল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বনরূপা এলাকার দোকানপাট ও স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় থাকা অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হন। এর ঘণ্টাখানেক পর সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালান।

এরপর দুপুর ১২টার দিকে পাহাড়িরা শহরের রাজবাড়ি এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেন। হাসপাতাল এলাকা ও কালিন্দিপুর এলাকায়ও হামলার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

বর্তমানে সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। স্থানীয় বাঙালিরা হামলার প্রতিবাদে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছি।

ট্যাগস

রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

আপডেট সময় ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে রাঙামাটি শহরও। সেখানে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়েছে।

ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানপাট। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। উত্তেজনা বিরাজ করায় শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর দেড়টায় ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরে শত শত পাহাড়ি জনতা মিছিল বের করে। সেই মিছিল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বনরূপা এলাকার দোকানপাট ও স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় থাকা অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হন। এর ঘণ্টাখানেক পর সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালান।

এরপর দুপুর ১২টার দিকে পাহাড়িরা শহরের রাজবাড়ি এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেন। হাসপাতাল এলাকা ও কালিন্দিপুর এলাকায়ও হামলার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

বর্তমানে সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। স্থানীয় বাঙালিরা হামলার প্রতিবাদে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছি।