ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও আবেদন নামঞ্জুর

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 21

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন প্রত্যাখান বা নামঞ্জুর করেছে।

কোম্পানিটির ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল।

বিএসইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েকটি সমস্যার কারণে কোম্পানিটির আইপিও আবেদনটি নামঞ্জুর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে এখন এই সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুনরায় জমা দিতে হবে। এসব প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ হয়ে গেলে কোম্পানিটি আইপিওর জন্য নতুন নতুন কাগজপত্রসহ পুনরায় আবেদন করতে পারে।

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাসে বলা হয়েছে, বিএমবিএ’র সাবেক সভাপতি ছায়েদুর রহমান কোম্পানিটির প্রাক-আইপিও’র ৭.৭৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে জব্দ করেছে। এই কারণে কোম্পানিটির আইপিও প্রস্তাব প্রত্যাখান করা হয়েছে।

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাসে আইপিও অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারী ট্রেজারি বন্ডে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যাংকে এফডিআর, ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা শেয়াবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও ব্যয় বাবত ১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ি, আইপিও অর্থের ন্যুনতম ২০ শতাংশ অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাস অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জেনিথ ইসলামি লাইফ ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা নেট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। আগের বছর সংগ্রহ করেছিল ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

তবে ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের আকার আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরে লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ট্যাগস

জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও আবেদন নামঞ্জুর

আপডেট সময় ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন প্রত্যাখান বা নামঞ্জুর করেছে।

কোম্পানিটির ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল।

বিএসইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েকটি সমস্যার কারণে কোম্পানিটির আইপিও আবেদনটি নামঞ্জুর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে এখন এই সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুনরায় জমা দিতে হবে। এসব প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ হয়ে গেলে কোম্পানিটি আইপিওর জন্য নতুন নতুন কাগজপত্রসহ পুনরায় আবেদন করতে পারে।

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাসে বলা হয়েছে, বিএমবিএ’র সাবেক সভাপতি ছায়েদুর রহমান কোম্পানিটির প্রাক-আইপিও’র ৭.৭৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে জব্দ করেছে। এই কারণে কোম্পানিটির আইপিও প্রস্তাব প্রত্যাখান করা হয়েছে।

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাসে আইপিও অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারী ট্রেজারি বন্ডে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যাংকে এফডিআর, ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা শেয়াবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও ব্যয় বাবত ১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ি, আইপিও অর্থের ন্যুনতম ২০ শতাংশ অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।

কোম্পানিটির প্রসপেক্টাস অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জেনিথ ইসলামি লাইফ ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা নেট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। আগের বছর সংগ্রহ করেছিল ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

তবে ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের আকার আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরে লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।