কারিনা কাপুর বলিউডে স্পষ্টভাষী অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত। কাউকে ছাড় না দিয়ে কথা বলার কারণে তিনি অনেকবার আলোচনা-সমালোচনারও মুখোমুখি হয়েছেন। এসেছেন সংবাদের শিরোনামেও। ক্যরিয়ারের শুরুতেই তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘সালমান খান খারাপ অভিনেতা’। নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালীকেও ছাড়েননি তিনি। অভিনয় জীবনের শুরুতে বানসালীকে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘তার কোনো নীতি নেই। তিনি বিভ্রান্ত লোক!’
আসলে এমনটা বলার যথেষ্ট কারণও ছিল। কারিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালী। ‘হাম দিল দে চুকে সানম’ সিনেমার জন্য তার প্রথম পছন্দ ছিলেন কারিনা। কিন্তু সেই সময় অভিনয় ভুবনে আসতে চাননি কারিনা। তারপর তিনি ঐশ্বরিয়াকে বেছে নিয়েছিলেন ওই ছবির নায়িকা হিসেবে। এরপরে কারিনাকে ‘দেবদাস’ সিনেমার প্রস্তাব দেন বানসালী। প্রাথমিকভাবে কারিনা সম্মতি দেননি। তার মনে হয়েছিল, এ সিনেমায় ‘পারু’ চরিত্রটির জন্য তিনি মানানসই নন। তবে পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন এ অভিনেত্রী। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর যে ঘটনাটি ঘটে, তা মানতে পারেননি কারিনা।
সিনেমার জন্য ফটোশুটের পরে কারিনা জানতে পারেন, ‘দেবদাস’ থেকে নির্মাতা তাকে বাদ দিয়েছেন। তার পরিবর্তে ঐশ্বরিয়াকে চূড়ান্ত করেছেন ‘পারু’ চরিত্রের জন্য। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন কারিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বানসালী একজন বিভ্রান্ত নির্মাতা। তার কথার কোনো দাম নেই। তার জীবনে কোনো নীতি আদর্শ নেই।’
কারিনা আরও বলেছিলেন, ‘আগামী দিনে যদি রাজ কাপুর এবং গুরু দত্তের নামের পাশে বানসালীর নাম আসে তা-ও আমি তার সঙ্গে ছবি করব না। এমনকি আমার হাতে কোনো কাজ না থাকলে, আমি যদি ফ্লপ নায়িকা হই তবুও করব না। তার সিনেমা থেকে আমি এমনিতেও কোনো অনুপ্রেরণা পাইনি।’