টানা পাঁচ কর্মদিবস পতনের পর উত্থানে ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। তবে সূচক বাড়লেও বেশিরভাগ কেম্পানির শেয়ার দর কমেছে শেয়ারবাজারে।
আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ১২ পয়েন্টের কিছু বেশি বেড়েছে। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৮৪টির বা ৪৬.৩৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) উত্থান দিয়ে শুরু হয় শেয়ারবাজারের লেনদেন। তবে লেনদেন শুরুর মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় পতনে চলে যায় সূচক। এরপর থেকে পতনেই হতে থাকে লেনদেন। এরপর আবার ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে উত্থানে ফিরে শেয়ারবাজার। লেনদেনের বাকি সময় উত্থানেই ছিল বাজার। দিন শেষে সূচকের সামান্য উত্থান হয়ে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমে যায়।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের যতদিন পূর্ণ আস্থা ফিরে না আসবে ততদিন শেয়ারবাজার সঠিক পথে চলতে পারবে না। সবার আগে শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরাতে হবে। হাসিনা সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছর শেয়ারবাজার নিয়ে খেলা করা হয়েছে। হাসিনা সরকারের পতন হলেও হাসিনা অনুসারীরা বাজারকে অস্থিতিশীল করে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত। হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মাগুলোকে সরানো গেলেই বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে। আর বাজার চলতে তার আপন গতিতে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১২.৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭৩ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ‘ডিএসইএস’ ১.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫৬ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৭.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৩৪৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ৩৬২ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
আজ সোমবার ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১৫০টির, কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির।