ঢাকা , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেক্সিকোর সিনালোয়া ভয়ংকর বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১৯ ‘গ্যাং সদস্য’

মেক্সিকোর সিনালোয়া রাজ্যের রাজধানীর কাছে বন্দুকযুদ্ধে ১৯ সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্য নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক কার্টেল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সিনালোয়া কার্টেল আন্তর্জাতিক অপরাধ সংস্থা যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মাদক-পাচারকারী সিন্ডিকেটগুলোর মধ্যে একটি। এটি মেক্সিকো সিনালোয়া রাজ্যের কুলিয়াকানে অবস্থিত।

গত জুলাইয়ের শেষের দিকে বিশ্বের অন্যতম মাদক সম্রাট ইসমাইল এল মায়ো জাম্বাদাকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো থেকে গ্রেপ্তার করে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এল মায়ো জাম্বাদা অভিযোগ করেছেন, সিনালোয়া কার্টেলের আরেকটি দল লস চ্যাপিটোসের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য তাকে অপহরণ করে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসে, এখানেই তিনি গ্রেপ্তার হয়।

এল মায়োর আগে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে ধরা পড়েন সিনালোয়া কার্টেলের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা হোয়াকিন ‘এল চাপো’ গুজম্যানের ছেলে হোয়াকিন গুজম্যান লোপেজ। এল চাপো আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দী।

আশির দশকের শেষ দিকে গুয়াদালাজারা চক্রের পতনের পর এই সিনালোয়া চক্র প্রতিষ্ঠা করেন জাম্বাদা। বর্তমানে সিনালোয়া কার্টেল এবং সিনালোয়া কার্টেলের আরেকটি দলের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সোমবার মারাত্মক বন্দুকযুদ্ধটি কুলিয়াকানের রাজধানী সিনালোয়া থেকে প্রায় ৭ মাইল (১১ কিলোমিটার) বাইরে ঘটেছিল। ঘটনার সময় ৩০ জনেরও বেশি বন্দুকধারী সেনাদের ওপর গুলি চালায়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ফেডারেল এজেন্টরা গুলি করার পর কিছু সন্দেহভাজন কার্টেল বন্দুকধারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিকে এডউইন আন্তোনিও ‘এন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি কার্টেল গ্যাংয়ের কিংবদন্তি সহপ্রতিষ্ঠাতা ইসমায়েল এল মায়ো জাম্বাদার নেতৃত্বে সিনালোয়া কার্টেল দলের স্থানীয় নেতা।

মেশিনগান, গোলাবারুদ এবং সামরিক ধাঁচের ভেস্ট এবং হেলমেটসহ সাতটি গাড়ি এবং প্রায় ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্রও জব্দ করা হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, মেক্সিকোর সিনালোয়ায় দুটি দলের মধ্যে বিরোধ চলছে এবং সরকারি তথ্য অনুসারে, এ লড়াইয়ে প্রায় ২০০ জন নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এই লড়াই আরো তীব্র হচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স

ট্যাগস

মেক্সিকোর সিনালোয়া ভয়ংকর বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১৯ ‘গ্যাং সদস্য’

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

মেক্সিকোর সিনালোয়া রাজ্যের রাজধানীর কাছে বন্দুকযুদ্ধে ১৯ সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্য নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক কার্টেল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সিনালোয়া কার্টেল আন্তর্জাতিক অপরাধ সংস্থা যা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মাদক-পাচারকারী সিন্ডিকেটগুলোর মধ্যে একটি। এটি মেক্সিকো সিনালোয়া রাজ্যের কুলিয়াকানে অবস্থিত।

গত জুলাইয়ের শেষের দিকে বিশ্বের অন্যতম মাদক সম্রাট ইসমাইল এল মায়ো জাম্বাদাকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো থেকে গ্রেপ্তার করে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এল মায়ো জাম্বাদা অভিযোগ করেছেন, সিনালোয়া কার্টেলের আরেকটি দল লস চ্যাপিটোসের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য তাকে অপহরণ করে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসে, এখানেই তিনি গ্রেপ্তার হয়।

এল মায়োর আগে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে ধরা পড়েন সিনালোয়া কার্টেলের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা হোয়াকিন ‘এল চাপো’ গুজম্যানের ছেলে হোয়াকিন গুজম্যান লোপেজ। এল চাপো আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দী।

আশির দশকের শেষ দিকে গুয়াদালাজারা চক্রের পতনের পর এই সিনালোয়া চক্র প্রতিষ্ঠা করেন জাম্বাদা। বর্তমানে সিনালোয়া কার্টেল এবং সিনালোয়া কার্টেলের আরেকটি দলের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সোমবার মারাত্মক বন্দুকযুদ্ধটি কুলিয়াকানের রাজধানী সিনালোয়া থেকে প্রায় ৭ মাইল (১১ কিলোমিটার) বাইরে ঘটেছিল। ঘটনার সময় ৩০ জনেরও বেশি বন্দুকধারী সেনাদের ওপর গুলি চালায়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ফেডারেল এজেন্টরা গুলি করার পর কিছু সন্দেহভাজন কার্টেল বন্দুকধারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিকে এডউইন আন্তোনিও ‘এন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি কার্টেল গ্যাংয়ের কিংবদন্তি সহপ্রতিষ্ঠাতা ইসমায়েল এল মায়ো জাম্বাদার নেতৃত্বে সিনালোয়া কার্টেল দলের স্থানীয় নেতা।

মেশিনগান, গোলাবারুদ এবং সামরিক ধাঁচের ভেস্ট এবং হেলমেটসহ সাতটি গাড়ি এবং প্রায় ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্রও জব্দ করা হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, মেক্সিকোর সিনালোয়ায় দুটি দলের মধ্যে বিরোধ চলছে এবং সরকারি তথ্য অনুসারে, এ লড়াইয়ে প্রায় ২০০ জন নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে এই লড়াই আরো তীব্র হচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স