ঢাকা , সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের চাল রপ্তানির খবরে বিশ্ববাজারে দাম কমছে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • 6

ভারত চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করায় বিশ্ববাজারে চালের দাম কমছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় চালের দাম কমছে। ফলে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির চাপ কমছে।

ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক। সম্প্রতি তারা আধেসেদ্ধ চাল রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিশ্ববাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের চাল রপ্তানির গড় মূল্য গত সপ্তাহে টনপ্রতি ৫২৯ ডলারে নেমে এসেছে। এই দাম আগের মাসের চেয়ে ৮ শতাংশ কম। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থাই চালের রপ্তানিমূল্য ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল। সেই তুলনায় এখন দাম কমেছে ২১ শতাংশ।

সেই সঙ্গে ভারতেও ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম গত সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৫০ থেকে ৪৮৪ ডলার, গত বছরের আগস্টের পর যা সর্বনিম্ন। ভারতের ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সাদা চালের দাম আগের সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৬০ থেকে ৪৯০ ডলার।

ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, গত সপ্তাহে দেশটিতে চালের দাম গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। ভিয়েতনামে বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চাল টনপ্রতি ৫৩২ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৩৭ ডলার।

২০২২ সালে সারা বিশ্বে যত চাল রপ্তানি হয়েছিল, তার ৪০ শতাংশই করেছে ভারত। সেই হিসাবে ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানিকারক দেশ। ওই বছর বিশ্ব রপ্তানি বাজারে ৫ কোটি ৫৪ লাখ টন চাল বেচাকেনা হয়েছিল। এর মধ্যে শুধু ভারতের চালই ছিল ২ কোটি ২২ লাখ টন।

চালের আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পরের চারটি অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালে এ চার দেশ সম্মিলিতভাবে যত চাল রপ্তানি করে, ভারত একাই তার চেয়ে বেশি করে। ভারত সব মিলিয়ে ১৪০টি দেশে চাল রপ্তানি করে। সে জন্য ভারতের চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে চালের দামে প্রভাব ফেলে।

২০২৩ সালে ভারত চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করলে বিশ্ববাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। ভারত চাল রপ্তানিতে নানা রকম বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণে এশিয়া ও আফ্রিকার ক্রেতারা এই শস্য কিনতে ছোটেন থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মিয়ানমারে। চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব দেশে চালের রপ্তানির মূল্য গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

রপ্তানিকারক দেশের প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে ভিয়েতনামে চালের দাম কমেছে। এ ছাড়া বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বুলোগ চাল ক্রয়ের টেন্ডার বাতিল করেছে। চালের দামে তার প্রভাবও পড়েছে।

এদিকে থাইল্যান্ডে গত সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৫১০ ডলার, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫২৫ ডলার। এ বিষয়ে ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, থাইল্যান্ডের চালের চাহিদা স্থিতিশীল; সরবরাহের জন্য চাল এরই মধ্যে জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

ট্যাগস

ভারতের চাল রপ্তানির খবরে বিশ্ববাজারে দাম কমছে

আপডেট সময় ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ভারত চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করায় বিশ্ববাজারে চালের দাম কমছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় চালের দাম কমছে। ফলে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির চাপ কমছে।

ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক। সম্প্রতি তারা আধেসেদ্ধ চাল রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিশ্ববাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের চাল রপ্তানির গড় মূল্য গত সপ্তাহে টনপ্রতি ৫২৯ ডলারে নেমে এসেছে। এই দাম আগের মাসের চেয়ে ৮ শতাংশ কম। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থাই চালের রপ্তানিমূল্য ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল। সেই তুলনায় এখন দাম কমেছে ২১ শতাংশ।

সেই সঙ্গে ভারতেও ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম গত সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৫০ থেকে ৪৮৪ ডলার, গত বছরের আগস্টের পর যা সর্বনিম্ন। ভারতের ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সাদা চালের দাম আগের সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৬০ থেকে ৪৯০ ডলার।

ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, গত সপ্তাহে দেশটিতে চালের দাম গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। ভিয়েতনামে বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চাল টনপ্রতি ৫৩২ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৩৭ ডলার।

২০২২ সালে সারা বিশ্বে যত চাল রপ্তানি হয়েছিল, তার ৪০ শতাংশই করেছে ভারত। সেই হিসাবে ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানিকারক দেশ। ওই বছর বিশ্ব রপ্তানি বাজারে ৫ কোটি ৫৪ লাখ টন চাল বেচাকেনা হয়েছিল। এর মধ্যে শুধু ভারতের চালই ছিল ২ কোটি ২২ লাখ টন।

চালের আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পরের চারটি অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালে এ চার দেশ সম্মিলিতভাবে যত চাল রপ্তানি করে, ভারত একাই তার চেয়ে বেশি করে। ভারত সব মিলিয়ে ১৪০টি দেশে চাল রপ্তানি করে। সে জন্য ভারতের চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে চালের দামে প্রভাব ফেলে।

২০২৩ সালে ভারত চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করলে বিশ্ববাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। ভারত চাল রপ্তানিতে নানা রকম বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণে এশিয়া ও আফ্রিকার ক্রেতারা এই শস্য কিনতে ছোটেন থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মিয়ানমারে। চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব দেশে চালের রপ্তানির মূল্য গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

রপ্তানিকারক দেশের প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে ভিয়েতনামে চালের দাম কমেছে। এ ছাড়া বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বুলোগ চাল ক্রয়ের টেন্ডার বাতিল করেছে। চালের দামে তার প্রভাবও পড়েছে।

এদিকে থাইল্যান্ডে গত সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৫১০ ডলার, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫২৫ ডলার। এ বিষয়ে ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, থাইল্যান্ডের চালের চাহিদা স্থিতিশীল; সরবরাহের জন্য চাল এরই মধ্যে জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।