নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নানান উদ্যোগের পরও স্থিতিশীলতায় ফিরছে না দেশের শেয়ারবাজার। কোনোভাবেই থামছে না শেয়ারবাজারের অস্থিরতা। আগের সপ্তাহে তিন দিন শেয়ারবাজার ইতিবাচক থাকলেও চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া তিন কর্মদিবসই পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এতে করে এই তিন দিনের পতনে বিনিয়ৈাগকারীদের লোকসান দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস রোববার লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আজ মঙ্গলবার লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এতে দেখা যায়, গত তিন দিনে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৯৯৪ কোটি ৫৬ লাখ ২৯ হাজার -টাকা। এই পরিমাণ টাকাই বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে তিন দিনে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিভিন্নভাবে বাজারকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তবে কেন বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না তা খুঁজে বের করতে হবে। বাজারকে অস্থিতিশীল রাখতে কেউ কোনোভাবে জড়িত কিনা তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা উচিৎ। যদি কেউ বাজারকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিতে কাজ করে তা বের করে তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। যাতে নতুন করে কেউ কারসাজি বা অনিয়মের সাথে জড়িত না হতে পারে।
মঙ্গলবারের বাজার পর্যালোচনা
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭.৪০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪২ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ১৭.৫০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৩ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২০.১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৫১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার বা ৬ শতাংশ।স্টক ব্রোকারেজ
ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭৫টির বা ১৯.৫৮ শতাংশের, কমেছে ২৬৭টির বা ৬৮.৮১ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৪৫টির বা ১১.৬০ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ১১ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ১৩৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৬টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৫ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৬৯১ পয়েন্টে।