ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • 9

ইসরাইলি সেনারা গাজায় জ্বালানী তেল প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বলে আগামী ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে উপত্যকার হাসপাতালগুলো হয় বন্ধ হয়ে যাবে অথবা চিকিৎসা সেবা কাটছাঁট করতে বাধ্য হবে।

গাজার ফিল্ড হাসপাতালগুলোর পরিচালক মারওয়ান আল-হামস এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি গাজা উপত্যকার চিকিৎসা সেবাদানকারী স্থাপনাগুলোর দুরবস্থার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। মারওয়ান বলেন, ইসরাইলি বাহিনী আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিরুদ্ধে তাদের বিশেষ আক্রোশ মেটাচ্ছে।

গাজার এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোর ডাক্তারসহ চিকিৎসাকর্মীরা খাবারবিহীন অবস্থায় রয়েছেন, আর আহত ও অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে পাচ্ছেন না। গণহত্যা চলমান থাকায় কোনো ইমার্জেন্সি বা সিভিল ডিফেন্স সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

হামস জানান, ইসরাইলি সেনারা গতকাল সকালেই উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হানা দিয়ে ছয়জন চিকিৎসাকর্মীকে আহত করেছে যাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দখলদার সেনারা হাসপাতালটির পাওয়ার জেনারেটর, অক্সিজেন স্টেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় হামলা চালায়।

গাজার ফিল্ড হাসপাতালগুলোর এই পরিচালক সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি রয়েছে। বহু শিশু ক্ষুধা, অপুষ্টি ও পানির ঘাটতি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোতে খেতে না পেয়ে রোগীরা মারা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বয়স্ক রোগীরা ক্ষুধা সহ্য করতে পারছেন না। পার্সটুডে

ট্যাগস

গাজার সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে

আপডেট সময় ০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ইসরাইলি সেনারা গাজায় জ্বালানী তেল প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বলে আগামী ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে উপত্যকার হাসপাতালগুলো হয় বন্ধ হয়ে যাবে অথবা চিকিৎসা সেবা কাটছাঁট করতে বাধ্য হবে।

গাজার ফিল্ড হাসপাতালগুলোর পরিচালক মারওয়ান আল-হামস এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি গাজা উপত্যকার চিকিৎসা সেবাদানকারী স্থাপনাগুলোর দুরবস্থার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। মারওয়ান বলেন, ইসরাইলি বাহিনী আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিরুদ্ধে তাদের বিশেষ আক্রোশ মেটাচ্ছে।

গাজার এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোর ডাক্তারসহ চিকিৎসাকর্মীরা খাবারবিহীন অবস্থায় রয়েছেন, আর আহত ও অসুস্থ রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে পাচ্ছেন না। গণহত্যা চলমান থাকায় কোনো ইমার্জেন্সি বা সিভিল ডিফেন্স সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

হামস জানান, ইসরাইলি সেনারা গতকাল সকালেই উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হানা দিয়ে ছয়জন চিকিৎসাকর্মীকে আহত করেছে যাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দখলদার সেনারা হাসপাতালটির পাওয়ার জেনারেটর, অক্সিজেন স্টেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় হামলা চালায়।

গাজার ফিল্ড হাসপাতালগুলোর এই পরিচালক সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি রয়েছে। বহু শিশু ক্ষুধা, অপুষ্টি ও পানির ঘাটতি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোতে খেতে না পেয়ে রোগীরা মারা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বয়স্ক রোগীরা ক্ষুধা সহ্য করতে পারছেন না। পার্সটুডে