ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামিট পাওয়ারের কর ফাঁকি ১১১৩ কোটি টাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) সামিটের দুই প্রতিষ্ঠান ‘সামিট পাওয়ার’ ও ‘সামিট কর্পোরেশন’-এর বিরুদ্ধে প্রায় ১,১১৩ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ উত্থাপন করেছে।

একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, সামিট পাওয়ার লিমিটেড সুকৌশলে সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডকে ডিভিডেন্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন করেনি। এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেন, বিষয়টি সংক্রান্তভাবে এনবিআর থেকে জারি করা নোটিশ তারা আমলে নেয়নি। এতে স্পষ্ট হয় যে, কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে সামিট পাওয়ার কিছু কৌশল অবলম্বন করেছে। অপরদিকে, সামিট কর্পোরেশনও সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় আইনের পরিপন্থীভাবে উৎসে কর কর্তন করেনি।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সামিট পাওয়ার লিমিটেড মোট ডিভিডেন্ড দেওয়ার মাধ্যমে প্রায় ৪৬৫ কোটি টাকা উৎসে কর ফাঁকি দিয়েছে। এছাড়া, সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডও এ সময়ে বিদেশি কোম্পানির (সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল) প্রতি ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় ৬৪৭ কোটি টাকার উৎসে কর কর্তন করেনি। ফলে দুই প্রতিষ্ঠান ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত মোট ১,১১২ কোটি টাকার কর ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে।

এনবিআরএর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অতীতে কর ফাঁকির নানা কৌশল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন এবং সামিট গ্রুপের আয়কর ফাঁকির তথ্য খতিয়ে দেখছেন। এনবিআরের ২০১৩ সালের একটি আদেশ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি দেওয়া হলেও ডিভিডেন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে।

প্রবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবস্থিত কোম্পানিগুলোকে তাদের ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় উৎসে কর কর্তন করতে হয়। কিন্তু সামিট গ্রুপ এ নিয়ম লংঘন করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের আইনি বিভাগের মাধ্যমে আবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ন্যায্য কর পরিশোধ করতে বাধ্য করা হয়।

ট্যাগস

সামিট পাওয়ারের কর ফাঁকি ১১১৩ কোটি টাকা

আপডেট সময় ৫ ঘন্টা আগে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) সামিটের দুই প্রতিষ্ঠান ‘সামিট পাওয়ার’ ও ‘সামিট কর্পোরেশন’-এর বিরুদ্ধে প্রায় ১,১১৩ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ উত্থাপন করেছে।

একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, সামিট পাওয়ার লিমিটেড সুকৌশলে সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডকে ডিভিডেন্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন করেনি। এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেন, বিষয়টি সংক্রান্তভাবে এনবিআর থেকে জারি করা নোটিশ তারা আমলে নেয়নি। এতে স্পষ্ট হয় যে, কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে সামিট পাওয়ার কিছু কৌশল অবলম্বন করেছে। অপরদিকে, সামিট কর্পোরেশনও সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় আইনের পরিপন্থীভাবে উৎসে কর কর্তন করেনি।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সামিট পাওয়ার লিমিটেড মোট ডিভিডেন্ড দেওয়ার মাধ্যমে প্রায় ৪৬৫ কোটি টাকা উৎসে কর ফাঁকি দিয়েছে। এছাড়া, সামিট কর্পোরেশন লিমিটেডও এ সময়ে বিদেশি কোম্পানির (সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল) প্রতি ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় ৬৪৭ কোটি টাকার উৎসে কর কর্তন করেনি। ফলে দুই প্রতিষ্ঠান ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত মোট ১,১১২ কোটি টাকার কর ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে।

এনবিআরএর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অতীতে কর ফাঁকির নানা কৌশল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন এবং সামিট গ্রুপের আয়কর ফাঁকির তথ্য খতিয়ে দেখছেন। এনবিআরের ২০১৩ সালের একটি আদেশ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি দেওয়া হলেও ডিভিডেন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে।

প্রবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবস্থিত কোম্পানিগুলোকে তাদের ডিভিডেন্ড প্রদানের সময় উৎসে কর কর্তন করতে হয়। কিন্তু সামিট গ্রুপ এ নিয়ম লংঘন করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের আইনি বিভাগের মাধ্যমে আবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ন্যায্য কর পরিশোধ করতে বাধ্য করা হয়।