ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন সামিটের আজিজ খান

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের স্থায়ী নিবাসী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, যা সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ না থাকায় তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়েছে।

আইন ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা জানান, সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব লাভের জন্য বর্তমান নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রমাণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হয়। এ বিষয়ে হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. তানভীর আহমেদ বলেন, সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী আজিজ খান বাংলাদেশের পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় অবস্থান করছেন এবং ফোর্বসের বৈশ্বিক বিলিয়নেয়ার তালিকাতেও তার নাম রয়েছে। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো তিনি এ তালিকায় স্থান পান এবং তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি ডলার। পরবর্তী বছরে তার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আজিজ খানের উদ্যোক্তা জীবন শুরু হয় ১৮ বছর বয়সে, যখন তিনি বাবার থেকে ৩০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে পুরান ঢাকায় জুতা তৈরির ব্যবসা শুরু করেন। তিনি পরে পিভিসি আমদানি এবং চিটাগুড়ের রফতানি ব্যবসায়ও যুক্ত হন। বিদ্যুৎ খাতে তার ব্যবসার মাধ্যমে তিনি উল্লেখযোগ্য সফলতা লাভ করেন, যা সামিট গ্রুপের প্রধান দিক।

মুহাম্মদ আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানরাও সেখানে থাকেন। যদিও তারা মাঝে মাঝেই বাংলাদেশে আসেন, তাদের অধিকাংশ সময় সিঙ্গাপুরে কাটে। সামিট পাওয়ার ও সামিট পোর্ট, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। বর্তমানে তার সম্পদের বড় একটি অংশ দখল করে আছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সামিট গ্রুপ বর্তমানে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

ট্যাগস

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন সামিটের আজিজ খান

আপডেট সময় এক ঘন্টা আগে

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের স্থায়ী নিবাসী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, যা সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ না থাকায় তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়েছে।

আইন ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা জানান, সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব লাভের জন্য বর্তমান নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রমাণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হয়। এ বিষয়ে হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. তানভীর আহমেদ বলেন, সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী আজিজ খান বাংলাদেশের পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় অবস্থান করছেন এবং ফোর্বসের বৈশ্বিক বিলিয়নেয়ার তালিকাতেও তার নাম রয়েছে। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো তিনি এ তালিকায় স্থান পান এবং তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি ডলার। পরবর্তী বছরে তার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আজিজ খানের উদ্যোক্তা জীবন শুরু হয় ১৮ বছর বয়সে, যখন তিনি বাবার থেকে ৩০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে পুরান ঢাকায় জুতা তৈরির ব্যবসা শুরু করেন। তিনি পরে পিভিসি আমদানি এবং চিটাগুড়ের রফতানি ব্যবসায়ও যুক্ত হন। বিদ্যুৎ খাতে তার ব্যবসার মাধ্যমে তিনি উল্লেখযোগ্য সফলতা লাভ করেন, যা সামিট গ্রুপের প্রধান দিক।

মুহাম্মদ আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানরাও সেখানে থাকেন। যদিও তারা মাঝে মাঝেই বাংলাদেশে আসেন, তাদের অধিকাংশ সময় সিঙ্গাপুরে কাটে। সামিট পাওয়ার ও সামিট পোর্ট, যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। বর্তমানে তার সম্পদের বড় একটি অংশ দখল করে আছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সামিট গ্রুপ বর্তমানে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।