ঢাকা , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন বছরের ১০ বিজনেস ট্রেন্ড

চলতি বছরের জন্য অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১০টি বিজনেস ট্রেন্ড প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট। এর মধ্যে প্রথমেই বলা হয়েছে কম মূল্যস্ফীতির কথা। অর্থাৎ ২০২৫ সালে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে সুদের হার কমাতে উৎসাহিত করবে। এতে ভোক্তারা ফের শপিংমলমুখী হবেন।

দ্বিতীয় যে বিজনেস ট্রেন্ডের কথা বলা হচ্ছে সেটা হলো প্রযুক্তিখাতে ব্যয়। এইখাতে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার। কারণ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ঝুঁকছে। এআইখাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।

তৃতীয়ত মানুষের বয়স নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। মানবজাতির ১২ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপরে। জিডিপির ১০ শতাংশ ব্যয় হয় তাদের স্বাস্থ্যসেবায়। চতুর্থত সরকারগুলো ব্যাপকভাবে গ্রিন স্কিমের দিকে ঝুঁকছে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। তবে এখনো জীবাশ্ম জ্বালানি চাহিদার চার-পঞ্চমাংশের বেশি সরবরাহ করে।

পঞ্চম বিষয়টি হলো বৈদ্যুতিক গাড়ির উত্থান। দেশে দেশে বিক্রি বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইলন মাস্কের টেসলা ও চীনের বিওয়াইডি। যষ্ঠ উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এয়ারলাইনসগুলো কার্বন নির্গম কমাতে অঙ্গীকার করছে। গ্রিনহাউজ গ্যাসের ৪ থেকে ৬ শতাংশের জন্য দায়ী পর্যটন।

সপ্তম বিষয়টি হলো হাউজিং মার্কেট নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রকদের ধাক্কা দিচ্ছে। চীনে নেতিবাচক অবস্থা থাকলেও বিশ্বে বাড়ির দাম উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অষ্টম হলো গ্রিন নীতিগুলি বিশ্বব্যাপী ধাতুর দামকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। চাহিদা বাড়ছে গাড়রি ব্যাটারি থেকে ক্যাবল পর্যন্ত। মূলত কপার থেকে স্টিল সব কিছুর চাহিদাই বাড়ছে।

নবম ট্রেন্ড হলো বিশ্বজুড়ে পরিবেশগত লক্ষ্যমাত্র অবকাঠামোখাতে ব্যয় বৃদ্ধি করছে। গ্রস ফিক্সড ইনভেস্টমেন্ট প্রায় ২৮ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠে গেছে। যা গ্লোবাল জিডিপির এক-চতুর্থাংশ। শেষ ট্রেন্ডটি হলো জাহাজ ব্যবসায়ীদের অবশ্যই সবুজ প্রবণতা নেভিগেট করতে হবে। তাদের কার্বন নির্গমনের ৪০ শতাংশ ইইউ-এর নির্গমন-বাণিজ্য ব্যবস্থার অধীনে আনা হয়েছে।

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

ট্যাগস

নতুন বছরের ১০ বিজনেস ট্রেন্ড

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

চলতি বছরের জন্য অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১০টি বিজনেস ট্রেন্ড প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট। এর মধ্যে প্রথমেই বলা হয়েছে কম মূল্যস্ফীতির কথা। অর্থাৎ ২০২৫ সালে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে সুদের হার কমাতে উৎসাহিত করবে। এতে ভোক্তারা ফের শপিংমলমুখী হবেন।

দ্বিতীয় যে বিজনেস ট্রেন্ডের কথা বলা হচ্ছে সেটা হলো প্রযুক্তিখাতে ব্যয়। এইখাতে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার। কারণ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ঝুঁকছে। এআইখাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশ ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।

তৃতীয়ত মানুষের বয়স নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। মানবজাতির ১২ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপরে। জিডিপির ১০ শতাংশ ব্যয় হয় তাদের স্বাস্থ্যসেবায়। চতুর্থত সরকারগুলো ব্যাপকভাবে গ্রিন স্কিমের দিকে ঝুঁকছে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। তবে এখনো জীবাশ্ম জ্বালানি চাহিদার চার-পঞ্চমাংশের বেশি সরবরাহ করে।

পঞ্চম বিষয়টি হলো বৈদ্যুতিক গাড়ির উত্থান। দেশে দেশে বিক্রি বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইলন মাস্কের টেসলা ও চীনের বিওয়াইডি। যষ্ঠ উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এয়ারলাইনসগুলো কার্বন নির্গম কমাতে অঙ্গীকার করছে। গ্রিনহাউজ গ্যাসের ৪ থেকে ৬ শতাংশের জন্য দায়ী পর্যটন।

সপ্তম বিষয়টি হলো হাউজিং মার্কেট নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রকদের ধাক্কা দিচ্ছে। চীনে নেতিবাচক অবস্থা থাকলেও বিশ্বে বাড়ির দাম উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অষ্টম হলো গ্রিন নীতিগুলি বিশ্বব্যাপী ধাতুর দামকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। চাহিদা বাড়ছে গাড়রি ব্যাটারি থেকে ক্যাবল পর্যন্ত। মূলত কপার থেকে স্টিল সব কিছুর চাহিদাই বাড়ছে।

নবম ট্রেন্ড হলো বিশ্বজুড়ে পরিবেশগত লক্ষ্যমাত্র অবকাঠামোখাতে ব্যয় বৃদ্ধি করছে। গ্রস ফিক্সড ইনভেস্টমেন্ট প্রায় ২৮ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠে গেছে। যা গ্লোবাল জিডিপির এক-চতুর্থাংশ। শেষ ট্রেন্ডটি হলো জাহাজ ব্যবসায়ীদের অবশ্যই সবুজ প্রবণতা নেভিগেট করতে হবে। তাদের কার্বন নির্গমনের ৪০ শতাংশ ইইউ-এর নির্গমন-বাণিজ্য ব্যবস্থার অধীনে আনা হয়েছে।

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট