ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি …

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 18

ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে এই সমঝোতা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।

২০২৩ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। তবে ইসরায়েল গত শুক্রবার জানায়, তারা দক্ষিণ লেবাননে তাদের সেনা মোতায়েন রোববারের সময়সীমার পরেও অব্যাহত রাখবে।

লেবাননের অভিযোগ, ইসরায়েল ইচ্ছা করে সেনা প্রত্যাহারে বিলম্ব করছে। রোববার ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে ২২ জনকে হত্যা করেছে বলে লেবানিজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন লেবানিজ সেনা সদস্যও রয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক আদেশ উপেক্ষা করে হাজারও মানুষ নিজেদের ঘরে ফেরার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ড গত বছরের নভেম্বরে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই চুক্তির অধীনে ২৬ জানুয়ারি লেবানন থেকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের কথা ছিল ইসরায়েলের।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে হিজবুল্লাহর সঙ্গেও ইসরায়েলের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলি অভিযানে লেবাননে ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের দাবি, হিজবুল্লাহর অস্ত্র জব্দ এবং তাদের অবকাঠামো ধ্বংসই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল।

অবশেষে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটে।

হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, লেবানন, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার শিগগির আলোচনায় বসবে। আলোচনার মূল বিষয় হবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক লেবানিজ বন্দিদের মুক্তি।

ট্যাগস

ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি …

আপডেট সময় ০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে এই সমঝোতা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।

২০২৩ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। তবে ইসরায়েল গত শুক্রবার জানায়, তারা দক্ষিণ লেবাননে তাদের সেনা মোতায়েন রোববারের সময়সীমার পরেও অব্যাহত রাখবে।

লেবাননের অভিযোগ, ইসরায়েল ইচ্ছা করে সেনা প্রত্যাহারে বিলম্ব করছে। রোববার ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে ২২ জনকে হত্যা করেছে বলে লেবানিজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন লেবানিজ সেনা সদস্যও রয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক আদেশ উপেক্ষা করে হাজারও মানুষ নিজেদের ঘরে ফেরার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ড গত বছরের নভেম্বরে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই চুক্তির অধীনে ২৬ জানুয়ারি লেবানন থেকে সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের কথা ছিল ইসরায়েলের।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে হিজবুল্লাহর সঙ্গেও ইসরায়েলের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলি অভিযানে লেবাননে ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের দাবি, হিজবুল্লাহর অস্ত্র জব্দ এবং তাদের অবকাঠামো ধ্বংসই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল।

অবশেষে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটে।

হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, লেবানন, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার শিগগির আলোচনায় বসবে। আলোচনার মূল বিষয় হবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক লেবানিজ বন্দিদের মুক্তি।