ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ আগস্টের পর যেখানে আছে শেখ হাসিনার আত্মীয়রা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 2

শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন এবং তার পরিবারের প্রভাবশালী সদস্যদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যারা ক্ষমতার শীর্ষে থাকাকালে ব্যাপক সুবিধা ভোগ করেছেন। তবে, বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ পরিবর্তনের পর তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন বা দেশ ছেড়েছেন।

শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। তাদের মধ্যে কিছু নাম যেমন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে শামস পরশ, শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ। এছাড়া, শেখ ফজলে ফাহিম (এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি) এবং শেখ সেলিমের অন্যান্য পরিবারের সদস্যদেরও উল্লেখ করা হয়েছে।

অনেক শেখ পরিবারের সদস্য মন্ত্রী, এমপি, মেয়রসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং রাজনৈতিক এবং আর্থিক সুবিধা ভোগ করতেন। এই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

৫ আগস্টের পর, যখন রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন ঘটে, তখন এই নেতারা বেশিরভাগই আত্মগোপন করেন বা বিদেশে চলে যান। যেমন, শেখ সেলিমের পরিবার, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং তার পরিবার ভারতে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আরেক আত্মীয়, সাবেক এমপি নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) এবং মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) পরিবারের অন্য সদস্যদেরও গোপনে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শেখ পরিবারের কিছু সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খানও যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ কবির হোসেন এবং শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকও ৫ আগস্টের পর থেকে গায়েব হয়ে গেছেন।

এই প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, যারা একসময় ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন, তারা এখন রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন এবং তাই বিদেশে চলে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটে যেখানে শীর্ষ নেতাদের আত্মবিশ্বাস ও আশ্রয়ের প্রশ্ন ওঠে।

এই প্রতিবেদনে মূলত শেখ হাসিনার পরিবারের রাজনৈতিক সুবিধা এবং তাদের এখনকার অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন তাদের জন্য এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্যাগস

৫ আগস্টের পর যেখানে আছে শেখ হাসিনার আত্মীয়রা

আপডেট সময় ০১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন এবং তার পরিবারের প্রভাবশালী সদস্যদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যারা ক্ষমতার শীর্ষে থাকাকালে ব্যাপক সুবিধা ভোগ করেছেন। তবে, বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ পরিবর্তনের পর তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন বা দেশ ছেড়েছেন।

শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। তাদের মধ্যে কিছু নাম যেমন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে শামস পরশ, শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ। এছাড়া, শেখ ফজলে ফাহিম (এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি) এবং শেখ সেলিমের অন্যান্য পরিবারের সদস্যদেরও উল্লেখ করা হয়েছে।

অনেক শেখ পরিবারের সদস্য মন্ত্রী, এমপি, মেয়রসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং রাজনৈতিক এবং আর্থিক সুবিধা ভোগ করতেন। এই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

৫ আগস্টের পর, যখন রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন ঘটে, তখন এই নেতারা বেশিরভাগই আত্মগোপন করেন বা বিদেশে চলে যান। যেমন, শেখ সেলিমের পরিবার, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং তার পরিবার ভারতে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আরেক আত্মীয়, সাবেক এমপি নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) এবং মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) পরিবারের অন্য সদস্যদেরও গোপনে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শেখ পরিবারের কিছু সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খানও যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ কবির হোসেন এবং শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকও ৫ আগস্টের পর থেকে গায়েব হয়ে গেছেন।

এই প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, যারা একসময় ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন, তারা এখন রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন এবং তাই বিদেশে চলে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটে যেখানে শীর্ষ নেতাদের আত্মবিশ্বাস ও আশ্রয়ের প্রশ্ন ওঠে।

এই প্রতিবেদনে মূলত শেখ হাসিনার পরিবারের রাজনৈতিক সুবিধা এবং তাদের এখনকার অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন তাদের জন্য এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।