স্বপ্নের পদ্মা সেতু রেল সংযোগে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী দুপুর পৌনে ১টায় বিশেষ ট্রেনে মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন।
এর আগে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মাওয়া রেল স্টেশন প্রাঙ্গণ থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে। এর সফলতায় আজ শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক ট্রেন চলাচল। তবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে আরও কিছু দিন লাগবে। চীনের ঋণে প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রেলপথের রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৭ কিলোমিটার চালু হচ্ছে আজ। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর জুনে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলবে। এতে রেলপথে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব কমল ২১২ কিলোমিটার। স্বল্প সময়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সম্ভাবনার দুয়ার গেল খুলে।
গত বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন প্রতীক্ষার পদ্মা সেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতল এই সেতুর ওপরতলায় চলছে গাড়ি; নিচতলা দিয়ে চলবে ট্রেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন শুরু হয়। পদ্মা সেতুর মতো পদ্মা রেল সংযোগও সরকারের অগ্রাধিকারের প্রকল্প। টাকার অঙ্কে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং মেট্রোরেলের পর এটি তৃতীয় বৃহত্তম প্রকল্প।
পদ্মা সেতু হয়ে আপাতত তিনটি ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এগুলো হলো- ঢাকা-খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ঢাকা-যশোর রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস। রাজবাড়ী-রাজশাহী রুটের মধুমতি এক্সপ্রেসের চলাচল ঢাকা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে ১০০ বগি কেনা হয়েছে চীন থেকে। তবে আপাতত পুরোনো ট্রেনগুলোই চলবে।
১৬৯ কিলোমিটার ছাড়া আরও তিন কিলোমিটার মূল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে প্রকল্পের অধীনে। ৪৩ দশমিক ২২ কিলোমিটার সাইড এবং লুপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। সর্বমোট নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার।