ঢাকা , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের সম্পর্কের ছয় মাস পর অভিমানে গলায় ফাঁস প্রেমিকের

ঢাকা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন বড়গ্রাম বড় মসজিদ এলাকায় সাকিব হোসেন ব্যাপারী (১৬) নামের এক কিশোর প্রেমিকার সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, ওই কিশোর প্রথমে ঘুমের ওষুধ সেবন ও পরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার (৩ মে) দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কিশোরের খালাতো ভাই মো. ইয়াসিন জানান, সাকিব হোসেন লালবাগের একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ করে। গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মান-অভিমান হয়। শনিবার রাতে সাকিব ঘুমের ওষুধ সেবন করে এবং পরে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়।

তিনি জানান, রোববার সকালে বাসার লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাকিব হোসেন মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার হোসেন ব্যাপারীর সন্তান। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি টিনশেড বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। তার বাবা পেশায় রিকশাচালক। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

ট্যাগস

প্রেমের সম্পর্কের ছয় মাস পর অভিমানে গলায় ফাঁস প্রেমিকের

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

ঢাকা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন বড়গ্রাম বড় মসজিদ এলাকায় সাকিব হোসেন ব্যাপারী (১৬) নামের এক কিশোর প্রেমিকার সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, ওই কিশোর প্রথমে ঘুমের ওষুধ সেবন ও পরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার (৩ মে) দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কিশোরের খালাতো ভাই মো. ইয়াসিন জানান, সাকিব হোসেন লালবাগের একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ করে। গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মান-অভিমান হয়। শনিবার রাতে সাকিব ঘুমের ওষুধ সেবন করে এবং পরে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়।

তিনি জানান, রোববার সকালে বাসার লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাকিব হোসেন মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার হোসেন ব্যাপারীর সন্তান। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি টিনশেড বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। তার বাবা পেশায় রিকশাচালক। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।