ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দূর্নীতিগ্রস্থ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • 19

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, স্টক মার্কেট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই মারাত্মক দূর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি অনেকের বিরুদ্ধে এরকম দূর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রোববার (১১ মে) দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের দেয়া বিফ্রিংয়ে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে যেন বার্তা পৌছায় কোন ধরণের কোন অনিয়ম-দূর্নীতি বরদাস্ত করা হবেনা।

যমুনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।

বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান গত ৯ মাসে বাজারের জন্য নেয়া বিভিন্ন সংস্কার এবং কি কি সংস্কার এখনও চলমান আছে তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। সকলের অলোচনা এবং বক্তব্য শোনার পর দূর্নীতিগ্রস্থ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ ৫ টি নির্দেশনা দেন তিনি।

নির্দেশনা তুলে ধরে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যেসকল বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের অংশিদারিত্ব রয়েছে, সেই সকল কোম্পানিকে দ্রুততম সময়ে আইপিওতে নিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন ড. ইউ্নূস।

পাশাপাশি বাংলাদেশি বৃহৎ বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে আইপিওতে নিয়ে আসতে হবে, এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় কি কি পদক্ষেপ এবং প্রণদোয়া দেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও পুঁজিবাজারের অনেক নিহিত স্বার্থের মানূষ রয়েছে, ফলে যখনই পুঁজিবাজারের কোন রিফর্ম করার কথা চিন্ত করা হয় তখন সেগুলো কাজ করতে চায়না বা এই নিহিত স্বার্থের মানুষের এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জান। তাই বাজারে যেন খুব ডিপ রিফর্ম প্রয়োগ করা যায় এবং এমন ব্যক্তিদের বাজার মনিটরিংয়ে আনতে হবে যাদের এখানে কোন ইন্টারেস্ট নেই। পাশাপাশি বিদেশী বিশেষজ্ঞদের একটি টিম আনা, যারা এসে তিন মাসের মাঝে পুরো রিফর্ম শুরু করবেন।

সবশেষ যে সকল বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা বা সিন্ডিকেট লোন নিয়ে থাকেন। কিভাবে এতো বড় অংকের টাকা ব্যাংক থেকে না নিয়ে বন্ড ইস্যু করে বা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সংগ্রহ করার জন্য তাদের আগ্রহি করে তোলা যায় সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

ট্যাগস

দূর্নীতিগ্রস্থ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, স্টক মার্কেট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই মারাত্মক দূর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি অনেকের বিরুদ্ধে এরকম দূর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে এমন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রোববার (১১ মে) দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের দেয়া বিফ্রিংয়ে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে যেন বার্তা পৌছায় কোন ধরণের কোন অনিয়ম-দূর্নীতি বরদাস্ত করা হবেনা।

যমুনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।

বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান গত ৯ মাসে বাজারের জন্য নেয়া বিভিন্ন সংস্কার এবং কি কি সংস্কার এখনও চলমান আছে তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। সকলের অলোচনা এবং বক্তব্য শোনার পর দূর্নীতিগ্রস্থ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ ৫ টি নির্দেশনা দেন তিনি।

নির্দেশনা তুলে ধরে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যেসকল বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের অংশিদারিত্ব রয়েছে, সেই সকল কোম্পানিকে দ্রুততম সময়ে আইপিওতে নিয়ে আসার তাগিদ দিয়েছেন ড. ইউ্নূস।

পাশাপাশি বাংলাদেশি বৃহৎ বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে আইপিওতে নিয়ে আসতে হবে, এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় কি কি পদক্ষেপ এবং প্রণদোয়া দেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও পুঁজিবাজারের অনেক নিহিত স্বার্থের মানূষ রয়েছে, ফলে যখনই পুঁজিবাজারের কোন রিফর্ম করার কথা চিন্ত করা হয় তখন সেগুলো কাজ করতে চায়না বা এই নিহিত স্বার্থের মানুষের এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জান। তাই বাজারে যেন খুব ডিপ রিফর্ম প্রয়োগ করা যায় এবং এমন ব্যক্তিদের বাজার মনিটরিংয়ে আনতে হবে যাদের এখানে কোন ইন্টারেস্ট নেই। পাশাপাশি বিদেশী বিশেষজ্ঞদের একটি টিম আনা, যারা এসে তিন মাসের মাঝে পুরো রিফর্ম শুরু করবেন।

সবশেষ যে সকল বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা বা সিন্ডিকেট লোন নিয়ে থাকেন। কিভাবে এতো বড় অংকের টাকা ব্যাংক থেকে না নিয়ে বন্ড ইস্যু করে বা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সংগ্রহ করার জন্য তাদের আগ্রহি করে তোলা যায় সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।