আবারও গাজা বিক্রিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে থাইল্যান্ড। বছর তিনেক আগে গাঁজা বৈধ করেছিল দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটি। কিন্তু এখন প্রেসক্রিপশন ছাড়া গাঁজা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আনতে চলেছে তারা। থাইল্যান্ডের নতুন স্বাস্থ্য নীতির আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
২০২২ সালে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে গাঁজা বৈধ করে থাইল্যান্ড। এতে পর্যটন ও কৃষিখাতে উল্লম্ফন দেখা গেলেও, নিয়ন্ত্রণের ঘাটতিতে গাঁজা শিশুদের হাতেও পৌঁছেছে এবং আসক্তির হার বেড়েছে বলে দাবি উঠেছে।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুতিন গত সোমবার একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে গাঁজা কেবল প্রেসক্রিপশনধারী ব্যক্তিদের কাছে বিক্রির অনুমতি থাকবে। সেইসঙ্গে গাঁজা ফুল বা বাডকে ‘নিয়ন্ত্রিত ভেষজ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের মহাসচিব ফানুরাত লুকবুন বুধবার জানান, তার সংস্থা এরই মধ্যে এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ও প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই আদেশটি রয়্যাল গেজেটে প্রকাশিত হলেই কার্যকর হবে। যদিও সেটি ঠিক কবে প্রকাশ পাবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে গাঁজা বৈধ করার পর দেশটিতে গাঁজা আসক্ত মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সরকারি মুখপাত্র জিরায়ু হউংসাব বলেন, বিভিন্ন দোকানে বিনোদন ও চিকিৎসা—উভয় উদ্দেশ্যে গাঁজা বিক্রি হচ্ছিল, যা শিশু ও সাধারণ মানুষের জন্য সহজপ্রাপ্য হয়ে উঠেছিল। এটি মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের নীতির পরিপন্থি।
তবে গাঁজা বৈধকরণের পক্ষে থাকা একদল অ্যাডভোকেট বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। তারা আগামী মাসে থাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র: ইউএনবি