বলিউড ভাইজান সালমান খান প্রায় গত তিন দশক ধরে নায়কের আসনে রয়েছেন। তিনি নাম, যশ খ্যাতির শীর্ষে রয়েছেন। বলিউডের ভেতরে তাকে নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে- তিনি যেমন যে কোনো নবাগতের জীবন গড়ে দিতে পারেন, চাইলে কারও ক্যারিয়ার বিনাশও করার ক্ষমতা রাখেন।
ভাইজান বলিউডকে উপহার দিয়েছেন বেশ কয়েকজন নতুন নায়িকা, এদের মধ্যে ক্যাটরিনা কাইফ অন্যতম। তার প্রেম জীবন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। সালমান অবশ্য স্বীকার করেছেন মাত্র ছয়টি সম্পর্কের কথা। সংগীতা বিজলানি থেকে ঐশ্বরিয়া রাই, সোমি আলি, ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে তার নাম জড়ায়। তবে কারো সঙ্গেই ঘর বাঁধা হয়নি তার। তাই প্রায় ৫৯ বছরের সালমান আজও বলিউডের সবচেয়ে যোগ্য অবিবাহিত পুরুষের তকমা পেয়েছেন।
সিনেমার পর্দায়ও সালমানের ভাবমূর্তি প্রেমিকের। একের পর এক প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ নায়ক। কিন্তু নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়াতে চান না তিনি। এখন পর্যন্ত তার সিনেমা ‘নো কিসিং পলিসি’ বহাল। কেনো সিনেমার পর্দায় নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে চান না ভাইজান? এর কারণ জানালেন সালমানের ভাই আরবাজ খান।
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ‘নো কিসিং পলিসি’তে বিশ্বাসী সালমান খান। যদিও নিজের এ সিদ্ধান্ত মাত্র একবার ভেঙেছিলেন— তা আবার কারিশমা কাপুরের জন্য। নব্বইয়ের দশকে ‘জিত’ সিনেমায় কারিশমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখেন সালমান। তারপর কারিশমার সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক কাজ করেন। নির্মাতাদের চাহিদা চুম্বনের। কিন্তু সালমানের জীবনে ‘জিত’ই প্রথম আর শেষ সিনেমা।
২০১৭ সালে নির্মাতা আলি আব্বাস জাফর ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ সিনেমার জন্য চুম্বনের দৃশ্যের অনুরোধ করেন। কিন্তু ফিরিয়ে দেন সালমান। বছর খানেক আগে একটি কমেডি শোয়ের মঞ্চে এসে এ ‘নো কিসিং পলিসি’ প্রসঙ্গ উঠতে সালমানের সামনেই তার ভাই আরবাজ বলেন, ‘আসলে ক্যামেরার পিছনে এত চুমু খান, তাই পর্দায় খান না।’ ভাইয়ের কথা শুনে সালমান লজ্জায় লাল হয়ে যান।
বিজনেস আওয়ার/ ০৬ জুলাই / রানা