চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অস্থায়ী শ্রমিককে কোনো প্রকার নিয়োগবিধি না মেনে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে নগরীর টাইপাস এলাকায় চসিক কার্যালয়ে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযানে নেতৃত্বে দেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমদ।
দুদক জানিয়েছে, চসিক কার্যালয়ে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানে শ্রমিকদের অবৈধভাবে বিভিন্নপদে পদোন্নতি প্রদানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পরে সচিব বরাবর বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। এসময় চসিকের পদোন্নতি সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে মো. রোকনুজ্জামান, রশিদ আহমদ, জাহেদুল আহসান এবং এস এম রাফিউল হক মনিরীকে শ্রমিক পদ থেকে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়নের সত্যতা পাওয়া যায়।
মো. রোকনুজ্জামান ২০২৩ সালের ১৩ জুন শ্রমিক পদে নিয়োগের অফিস আদেশ প্রাপ্ত হয়ে ১৮ জুন সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক পদে যোগদান করেন। একই তারিখের অফিস আদেশে তাকে উপসহকারী প্রকৌশলী (অস্থায়ী) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। রশিদ আহমদ ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক পদে নিয়োগের অফিস আদেশ প্রাপ্ত হয়ে একই দিনে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর অফিস আদেশে তাকে উপসহকারী প্রকৌশলী (অস্থায়ী) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। জাহিদুল আহসান ও এস এম রাফিউল হক মনিরীকে একইভাবে শ্রমিক পদ থেকে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা হয়।
আইন ও বিধির যথাযথ অনুসরণ ছাড়া স্বেচ্ছাচারিতা ও মারাত্মক অনিয়মের আশ্রয়ে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা শ্রমিকদের পরবর্তী সময়ে উপসহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে পদায়ন করা হচ্ছে। টিম কর্তৃক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নিকট সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ও শ্রমিক পদ থেকে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের তালিকাসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিবিধ বিষয়ে আরও রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম অতি দ্রুত কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানানো হয়।