ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চার বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি মারিও জাগালো আর নেই

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • 170

ব্রাজিল তাদের প্রথম বিশ্বকাপ জিতে ১৯৫৮ সালে। পেলের সঙ্গে সেই দলের সদস্য ছিলেন লেফট উইঙ্গার মারিও জাগালো। ২০২২ সালে পেলে মারা যাওয়ার পর সেই দলের একমাত্র জীবিত সদস্য ছিলেন জাগালো। এবার তিনিও নিলেন চিরবিদায়। আজ শনিবার ৯২ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে জাগালোর নাম। শুধু ১৯৫৮ সালেই নয়, এরপর ১৯৬২ সালেও তিনি বিশ্বকাপ জিতেন। ১৯৭০ সালে পেল-জাইরজিনহো-রিভেলিনোদের সঙ্গে জিতেন আরও একটি বিশ্বকাপ। এবার অবশ্য কোচ হিসেবে। এর মধ্য দিয়ে ফুটবল ইতিহাসে প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে খেলোয়াড় এবং কোচ হয়ে বিশ্বকাপ জেতার নজির গড়েন তিনি।

আর ১৯৯৪ সালে জিতেন আরও একবার সহকারী কোচ হিসেবে। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে চার-চারটি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। আর ২০০২ সালে ছিলেন ব্রাজিল দলের পরামর্শক। অর্থাৎ পাঁচবার তিনি বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।

কিংবদন্তি এই ফুটবলার, কোচ ও সংগঠকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস, ‘আমরা তার পরিবার ও ভক্ত-সমর্থকদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। ব্রাজিলের ফুটবলের একজন বড় মাপের তারকা ও কিংবদন্তির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন আমাদের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি।’

জাগালো ১৯৬৫ সালে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন এবং পরের বছর রিও ডি জেনিরো ক্লাব বোটাফোগোতে তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন।

মেক্সিকো বিশ্বকাপের ঠিক আগে ১৯৭০ সালে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। সেবার তিনি এমন একটি স্কোয়াড পেয়েছিলেন যার মধ্যে পেলে, জাইরজিনহো, গেরসন, রবার্তো রিভেলিনো ও তোস্তাওর মতো খেলোয়াড়রা ছিলেন। জাগালোর তত্ত্বাবধানে ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথম তিনবারের চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।

১৯৯৪ বিশ্বকাপে জাগালো ছিলেন কার্লোস আলবার্তো পেরেইরার সহকারী কোচ। সেবারও ব্রাজিল শিরোপা জিতেছিল। আবারও ফাইনালে ইতালিকে পরাজিত করেছিল।

১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপের নেতৃত্বে ফিরেছিলেন জাগালো এবং দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু স্ট্রাইকার রোনাল্ডোর খিঁচুনির কারণে জেতা হয়নি আরও একটি বিশ্বকাপ। স্বাগতিকদের কাছে ৩-০ গোলে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল তারা।

ট্যাগস

চার বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি মারিও জাগালো আর নেই

আপডেট সময় ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

ব্রাজিল তাদের প্রথম বিশ্বকাপ জিতে ১৯৫৮ সালে। পেলের সঙ্গে সেই দলের সদস্য ছিলেন লেফট উইঙ্গার মারিও জাগালো। ২০২২ সালে পেলে মারা যাওয়ার পর সেই দলের একমাত্র জীবিত সদস্য ছিলেন জাগালো। এবার তিনিও নিলেন চিরবিদায়। আজ শনিবার ৯২ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে জাগালোর নাম। শুধু ১৯৫৮ সালেই নয়, এরপর ১৯৬২ সালেও তিনি বিশ্বকাপ জিতেন। ১৯৭০ সালে পেল-জাইরজিনহো-রিভেলিনোদের সঙ্গে জিতেন আরও একটি বিশ্বকাপ। এবার অবশ্য কোচ হিসেবে। এর মধ্য দিয়ে ফুটবল ইতিহাসে প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে খেলোয়াড় এবং কোচ হয়ে বিশ্বকাপ জেতার নজির গড়েন তিনি।

আর ১৯৯৪ সালে জিতেন আরও একবার সহকারী কোচ হিসেবে। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে চার-চারটি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। আর ২০০২ সালে ছিলেন ব্রাজিল দলের পরামর্শক। অর্থাৎ পাঁচবার তিনি বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।

কিংবদন্তি এই ফুটবলার, কোচ ও সংগঠকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস, ‘আমরা তার পরিবার ও ভক্ত-সমর্থকদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। ব্রাজিলের ফুটবলের একজন বড় মাপের তারকা ও কিংবদন্তির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন আমাদের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি।’

জাগালো ১৯৬৫ সালে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন এবং পরের বছর রিও ডি জেনিরো ক্লাব বোটাফোগোতে তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন।

মেক্সিকো বিশ্বকাপের ঠিক আগে ১৯৭০ সালে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। সেবার তিনি এমন একটি স্কোয়াড পেয়েছিলেন যার মধ্যে পেলে, জাইরজিনহো, গেরসন, রবার্তো রিভেলিনো ও তোস্তাওর মতো খেলোয়াড়রা ছিলেন। জাগালোর তত্ত্বাবধানে ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথম তিনবারের চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।

১৯৯৪ বিশ্বকাপে জাগালো ছিলেন কার্লোস আলবার্তো পেরেইরার সহকারী কোচ। সেবারও ব্রাজিল শিরোপা জিতেছিল। আবারও ফাইনালে ইতালিকে পরাজিত করেছিল।

১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপের নেতৃত্বে ফিরেছিলেন জাগালো এবং দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু স্ট্রাইকার রোনাল্ডোর খিঁচুনির কারণে জেতা হয়নি আরও একটি বিশ্বকাপ। স্বাগতিকদের কাছে ৩-০ গোলে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল তারা।