ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের পর ২ দিনের কর্মসূচি দিলো বিএনপি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • 163

অনুষ্ঠিত হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের পর নতুন করে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ও বুধবার (১০ জানুয়ারি) লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করবে দলটি।

সংবাদ সসম্মলনে মঈন খান বলেন, বাস্তবতার নিরিখে আজ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তবর্তীকালীন স্বাধীন সরকারের মাধ্যেমে নির্বাচন হতে হবে। সত্যিকার অর্থে জনগণ যে ক্ষমতার উৎস, তাদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। যেন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা একটি ইশতেহার চেয়েছি। যেখানে আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় সংষ্কার চেয়েছি। আমরা রাজনীতি করি, জনগণের সেবা করার জন্য।

বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এ সরকারকে বর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল জনগণ শুধু ভোট বর্জনই করেনি, তারা আওয়ামী লীগের বিদ্যমান কর্মকাণ্ডকেও বর্জন করেছে। বিএনপি জনগণের দল এবং জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করে। আমরা রাজপথে ছিলাম এবং থাকবো যতদিন না জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে না পারবো। বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত গণসংযোগ অব্যাহত রাখবো। রাজপথে হাঁটে-মাঠে-ঘাটে মানুষের কাছে যাব। তাদের সঙ্গে কথা বলবো, লিফলেট বিতরণ করবো। এ গণসংযোগের মাধ্যেমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবো। যা হবে দেশের মানুষের সচেতনতা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সচেতনতা।

মঈন খান বলেন, দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে, ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকতো মানুষ নিজেই ভোট দিতে আসতো।

৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পড়েছে, টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে।

ড. মঈন খান আরও বলেন, আগামীতে যে সরকার গঠন করবে তা হবে-ফর দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি। এমন ডামি সরকার জনগণ চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ তারা ক্ষমতার অপব্যাবহার করছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি।

ট্যাগস

নির্বাচনের পর ২ দিনের কর্মসূচি দিলো বিএনপি

আপডেট সময় ০১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

অনুষ্ঠিত হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের পর নতুন করে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ও বুধবার (১০ জানুয়ারি) লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করবে দলটি।

সংবাদ সসম্মলনে মঈন খান বলেন, বাস্তবতার নিরিখে আজ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তবর্তীকালীন স্বাধীন সরকারের মাধ্যেমে নির্বাচন হতে হবে। সত্যিকার অর্থে জনগণ যে ক্ষমতার উৎস, তাদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। যেন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা একটি ইশতেহার চেয়েছি। যেখানে আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় সংষ্কার চেয়েছি। আমরা রাজনীতি করি, জনগণের সেবা করার জন্য।

বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এ সরকারকে বর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল জনগণ শুধু ভোট বর্জনই করেনি, তারা আওয়ামী লীগের বিদ্যমান কর্মকাণ্ডকেও বর্জন করেছে। বিএনপি জনগণের দল এবং জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করে। আমরা রাজপথে ছিলাম এবং থাকবো যতদিন না জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে না পারবো। বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। তারই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত গণসংযোগ অব্যাহত রাখবো। রাজপথে হাঁটে-মাঠে-ঘাটে মানুষের কাছে যাব। তাদের সঙ্গে কথা বলবো, লিফলেট বিতরণ করবো। এ গণসংযোগের মাধ্যেমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবো। যা হবে দেশের মানুষের সচেতনতা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সচেতনতা।

মঈন খান বলেন, দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ৬৩টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন করেছে, ডামি প্রার্থী দিয়েছে, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়েছে, তবু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি যদি মানুষের আস্থা থাকতো মানুষ নিজেই ভোট দিতে আসতো।

৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পড়েছে, টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে।

ড. মঈন খান আরও বলেন, আগামীতে যে সরকার গঠন করবে তা হবে-ফর দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি। এমন ডামি সরকার জনগণ চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ তারা ক্ষমতার অপব্যাবহার করছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি।