ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে হতে পারে বৃষ্টি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • 161

খুব তাড়াতাড়ি কমছে না ঘন কুয়াশা। তবে, শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে কমে আসবে। শীত কমতে শুরু করে আবার মঙ্গলবার থেকে মেঘ দেখা দিতে পারে। তাতে কোথাও কোথাও শীতের অনুভূতি তীব্র আকারে আবার বাড়তে পারে।

আগামী ৩ দিন ভারী কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, ফলে শীতের তীব্রতা বাড়বে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ কারণে দিনে ও রাতে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পৌষের শেষে এসে সারাদেশসহ রাজধানীতে জেঁকে বসেছে শীত। দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শনিবার ঢাকার সকাল ছিল বেশ কুয়াশাচ্ছন্ন। সূর্যের দেখাও মেলেনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত কয়েক দিনে কুয়াশার কারণে সারা দেশে গড় তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে গেছে। আর ঢাকায় কমেছে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সারাদেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক রয়েছে। মধ্যরাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এই কুয়াশা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক দশ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া, বদলগাছীতে আট দশমিক নয়, সৈয়দপুরে নয় ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় নয় দশমিক তিন, চুয়াডাঙ্গায় নয় দশমিক পাঁচ, রাজশাহীতে নয় দশমিক ছয়, ঈশ্বরদীতে নয় দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি না থাকলেও সূর্যালোকের স্বল্পতায় তাপমাত্রা বাড়ছে না। ফলে শীতের অনুভূতি তীব্রতর হচ্ছে। আকাশে মেঘ আর ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তীব্রতা ভূপৃষ্ঠে ছড়াতে পারছে না। এতে দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধানও কমে গেছে। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের পরিমাণও বেড়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। এজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

আগামী ৩ দিন ভারী কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, ফলে শীতের তীব্রতা বাড়বে। শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে আগামী সপ্তাহে ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে সারা দেশে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে আবহাওয়া পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত কুয়াশা কাটারও তেমন সম্ভাবনা নেই।

ট্যাগস

শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে হতে পারে বৃষ্টি

আপডেট সময় ০৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

খুব তাড়াতাড়ি কমছে না ঘন কুয়াশা। তবে, শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে কমে আসবে। শীত কমতে শুরু করে আবার মঙ্গলবার থেকে মেঘ দেখা দিতে পারে। তাতে কোথাও কোথাও শীতের অনুভূতি তীব্র আকারে আবার বাড়তে পারে।

আগামী ৩ দিন ভারী কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, ফলে শীতের তীব্রতা বাড়বে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ কারণে দিনে ও রাতে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পৌষের শেষে এসে সারাদেশসহ রাজধানীতে জেঁকে বসেছে শীত। দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শনিবার ঢাকার সকাল ছিল বেশ কুয়াশাচ্ছন্ন। সূর্যের দেখাও মেলেনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত কয়েক দিনে কুয়াশার কারণে সারা দেশে গড় তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে গেছে। আর ঢাকায় কমেছে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সারাদেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক রয়েছে। মধ্যরাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এই কুয়াশা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক দশ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া, বদলগাছীতে আট দশমিক নয়, সৈয়দপুরে নয় ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় নয় দশমিক তিন, চুয়াডাঙ্গায় নয় দশমিক পাঁচ, রাজশাহীতে নয় দশমিক ছয়, ঈশ্বরদীতে নয় দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি না থাকলেও সূর্যালোকের স্বল্পতায় তাপমাত্রা বাড়ছে না। ফলে শীতের অনুভূতি তীব্রতর হচ্ছে। আকাশে মেঘ আর ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তীব্রতা ভূপৃষ্ঠে ছড়াতে পারছে না। এতে দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধানও কমে গেছে। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের পরিমাণও বেড়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। এজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

আগামী ৩ দিন ভারী কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, ফলে শীতের তীব্রতা বাড়বে। শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে আগামী সপ্তাহে ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে সারা দেশে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে আবহাওয়া পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত কুয়াশা কাটারও তেমন সম্ভাবনা নেই।