রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ডিম, মুরগি ও মাংস বিক্রি করা হবে। যাতে স্বল্প আয়ের মানুষ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কম দামে এসব পণ্য কিনতে পারে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং পরিপ্রেক্ষিতের যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। দেশের বিভিন্ন বাজারে পর্যাপ্ত মাছ, মুরগি, ডিম ও দুধের সরবরাহ থাকলেও দাম অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে, সেই সঙ্গে কিছু ব্যবসায়ীর নৈতিক অধঃপতনও বেড়েছে। মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা বাজারে কারসাজি করে মুনাফা লুটে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, উৎপাদনকারীদের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার অধিকার আছে। আবার ক্রেতাদেরও সঠিক দাম পাওয়ার অধিকার আছে। অথচ, ৫ টাকার ফুলকপি ঢাকায় এনে ৬০ টাকায় বিক্রি হয় এসব মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে। তাদের আকাঙ্ক্ষার জিহ্বা টেনে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত এত দূর আসার পেছনে সবার অংশগ্রহণ ছিল। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের উপকরণগুলো, যেমন: খাদ্য ও ওষুধের দাম কমানো গেলে উৎপাদন খরচ কমবে। তাহলে ভোক্তা কম দামে খেতে পারবে। রমজানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত-সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তার জন্য আমরা স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেছি। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে।