ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে (ইবি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশনে গত ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতিতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যায়সমূহের ভর্তি কমিটির একাধিক সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা এই পর্যায়ে পরিবর্তনের সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমিশন কর্তৃপক্ষের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছভুক্ত হয়ে পূর্বের তিনটি ভর্তি পরীক্ষার মতো ধারাবাহিকায় জিএসটি গুচ্ছের আওতায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
গত ২৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৭তম একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইবি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুচ্ছে অংশগ্রহণ করলে শিক্ষকরা গুচ্ছ ভর্তি সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে অংশ নেবেন না বলেও জানান তারা।
ইবির গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইউজিসির নজরে আসায় গত মঙ্গলবার এক নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও আরও ৬ জন মনোনীত প্রতিনিধিকে গত বৃহস্পতিবার এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান ইউজিসি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা উক্ত সভা বর্জন করে ফিরতি চিঠি পাঠান।
বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত প্রতিনিধি ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ইউজিসির চিঠি দেখে প্রতীয়মান হয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত উপাচার্য ইউজিসিকে জানাননি। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির মিটিং আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব। তবে ইউজিসি নির্দেশ দিলে তা অমান্য করা কঠিন।
ইউজিসির চেয়ারম্যানের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. তাহের বলেন, এ বিষয়ে কোন পর্যায়ে আছে তা আমার জানা নেই। এজন্য মন্তব্য করতে পারছি না।