নীলফামারীর সৈয়দপুরে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় সিজদারত অবস্থায় এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আল ফারুক একাডেমি সংলগ্ন বাঁশবাড়ী জামে রিজভীয়া মসজিদে ফজরের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তির নাম ভোলা কোরাইশী (৫৩)। তিনি বাঁশবাড়ী পুরাতন কিলখানা মহল্লার বাসিন্দা মৃত খয়রাতী কোরাইশীর তৃতীয় ছেলে।
পেশায় একজন মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন ভোলা কোরাইশী। শহরের রেলওয়ে কারখানা গেট বাজারে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো ভোরে বাঁশবাড়ী জামে রিজভীয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যান ভোলা কোরাইশী। সেখানে সুন্নত নামাজ পড়ার সময় সিজদারত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। ফরজ নামাজ শুরু হলে অন্যান্য মুসল্লিরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাননি। ফরজ নামাজ শেষ করে কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন তিনি মারা গেছেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান।
মৃতের ছোট ভাই সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাদিম কোরাইশী (ছটু) জানান, তার বড় ভাই ভোলা কোরাইশী অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন। সারা বছর সপ্তাহে তিন দিন নফল রোজা পালন করতেন। কিছুদিন ধরে তিনি নামাজের পর প্রতিদিন মুয়াজ্জিনের কাছে সহিহ পদ্ধতিতে কোরআন শরিফ পড়া শিখছিলেন।
এশার নামাজ শেষে হাতিখানা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সরস্বতী পূজার দিনে সাবিত্রীর বাবা শশধর চ্যাটার্জি মারা যান। পিতৃতুল্য বোন জামাইকেও হারিয়েছেন এই সরস্বতী পূজার দিনে। এ বিষয়ে সাবিত্রী বলেন, ‘আমার বাবা, জামাইবাবু, সবাইকে কেড়ে নিয়েছে মা সরস্বতী। তাই তার প্রতি অভিমানে অনেক বছর পূজা করিনি। গত ৩-৪ বছর ধরে আবারো পূজা করছি।’
সংসার না করা নিয়ে আফসোস নেই সাবিত্রীর। এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘সংসার করিনি তার জন্য কোনো আফসোস নেই। কারণ আমার দিদির ছেলেপুলেদের মানুষ করেছি। এখনো হয়ত তাদের ডাকলেই তারা আসবে, তবে সবারই তো সংসার আছে। এত বড় বাড়িতে তো কথা বলারও সঙ্গী চাই। তাই একা লাগে।’