ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জের স্যালাইন খেয়ে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে একই পরিবারের চারজন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 136

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্যালাইন খেয়ে জিমহা (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে বেলকুচি উপজেলার বৈলগাছী গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের মেয়ে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামীমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঁচজন রোগী আসে। স্বজনদের কথা অনুযায়ী, তারা ইফতারের পর স্যালাইন খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরমধ্যে জিমহা নামের এক শিশু হাসপাতালে পৌঁছার আগে মারা যান। বাকি চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি পরীক্ষার পর জানা যাবে।

এ ঘটনায় অসুস্থ হন, জিমহার মা পারভীন খাতুন, মেয়ে রিয়া ও নুরী এবং ভাগনি মিথিলা আকতার। তবে এদের মধ্যে পারভীন খাতুন ও রিয়ার অবস্থা একটু আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

মৃতের স্বজনরা জানায়, স্থানীয় একটি দোকান থেকে দুটি স্যালাইন কিনেন পারভীন খাতুন। পরে স্যালাইন দুটি পানিতে মিশিয়ে ইফতার করেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিন বছরের শিশু জিমহাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ প্রসঙ্গে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুদি দোকানদার আমিনুল ইসলামসহ চারজনকে থানায় আনা হয়েছে। একই সঙ্গে নিহত শিশুর বাড়ি থেকে স্যালাইনের খালি মোড়ক সংগ্রহ করা হয়।

ট্যাগস

সিরাজগঞ্জের স্যালাইন খেয়ে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে একই পরিবারের চারজন

আপডেট সময় ১২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্যালাইন খেয়ে জিমহা (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে বেলকুচি উপজেলার বৈলগাছী গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের মেয়ে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামীমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঁচজন রোগী আসে। স্বজনদের কথা অনুযায়ী, তারা ইফতারের পর স্যালাইন খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরমধ্যে জিমহা নামের এক শিশু হাসপাতালে পৌঁছার আগে মারা যান। বাকি চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি পরীক্ষার পর জানা যাবে।

এ ঘটনায় অসুস্থ হন, জিমহার মা পারভীন খাতুন, মেয়ে রিয়া ও নুরী এবং ভাগনি মিথিলা আকতার। তবে এদের মধ্যে পারভীন খাতুন ও রিয়ার অবস্থা একটু আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

মৃতের স্বজনরা জানায়, স্থানীয় একটি দোকান থেকে দুটি স্যালাইন কিনেন পারভীন খাতুন। পরে স্যালাইন দুটি পানিতে মিশিয়ে ইফতার করেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিন বছরের শিশু জিমহাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ প্রসঙ্গে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুদি দোকানদার আমিনুল ইসলামসহ চারজনকে থানায় আনা হয়েছে। একই সঙ্গে নিহত শিশুর বাড়ি থেকে স্যালাইনের খালি মোড়ক সংগ্রহ করা হয়।